গোপনীয়তারক্ষার অধিকার পেয়ে খুশি সমকামীরা, ধাক্কা খেল ধারা ৩৭৭
গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের ৩৭৭ ধারাও বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল, আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশনের ভিত্তিতে বিভেদ করা অসাংবিধানিক
গোপনীয়তারক্ষাকে মৌলিক অধিকারের তকমা দেওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের ৩৭৭ ধারাও বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল। এই আইনেই সমকামী ব্যক্তিদের নিজের যৌনসঙ্গী খোঁজার অধিকারে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা তৈরি করে রাখা হয়েছে। এবার সেখানেও গোপনীয়তা রক্ষা করা যাবে।
[আরও পড়ুন:গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারকে মৌলিক অধিকার বলে ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের]
এদিন মামলার রায়ঘোষণার পরও পুরো ফোকাস আধার কার্ডের ওপরই ছিল। কিন্তু এই গোপনীয়রক্ষার অধিকারের একটা অংশের সঙ্গে ধারা ৩৭৭ জড়িয়ে রয়েছে। সেক্ষেত্রে সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশনও একেবারেই ব্যক্তিগত একটা বিষয়। প্রত্যেকেরই যৌনতার অধিকার ও স্বাধীনতা রয়েছে। ভারতীয় সংবিধানের ১৪, ১৫ ও ২১ নং ধারায় সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন নিয়ে গোপনীয়তার কথা বলা আছে। এদিন আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশনের ভিত্তিতে বিভেদ করা অসাংবিধানিক। সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন ব্যক্তিবিশেষের পরিচয় এবং পরিচয় রক্ষা করার সরকারের দায়িত্ব।
[আরও পড়ুন:গোপনীয়তা রক্ষায় ঐতিহাসিক রায়, আধারের ভবিষ্যৎ কি 'আঁধার'-এ]
সুপ্রিমকোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের পর খুশির হাওয়া সমকামীদের মধ্যে। এই রায়ের ফলে ধারা ৩৭৭ এক বড় ধাক্কা খেল বলেই মনে করা হচ্ছে।