গৃহকর্তার অনুমতি ছাড়া কীভাবে কেউ ঘরে ঢুকবে, গোপনীয়তারক্ষার উদাহরণ টানলেন বিচারপতি
কাকে বাড়ির ভেতর ঢুকতে দেওয়া হবে আর কাকে ঢুকতে দেওয়া হবে না, তার সিদ্ধান্ত বাড়ির মালিকের। কোনও একজনকে ঘরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া মানেই সকলকে সেই অনুমতি দেওয়া নয়। গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার নিয়ে রায়দান করার সময়ে এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিমকোর্টের ৯ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
[আরও পড়ুন:গোপনীয়তা রক্ষায় ঐতিহাসিক রায়, আধারের ভবিষ্যৎ কি 'আঁধার'-এ]

এদিন সুপ্রিমকোর্ট জানায়, প্রযুক্তি দরজায় কড়া না নেড়েই আজ সকলের বাড়ির ভেতরে ঢুকে গিয়েছে। কোনও সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এমনটা হতেই পারে। এবার কোনও এক ব্যক্তিবিশেষের ওপর এটা নির্ভর করবে সে বাড়ির ভেতরে কীভাবে থাকবে, বা বাড়ির ভেতরে কাকে ঢুকতে দেবে। পরিবার, বিয়ে, সম্পর্ক ও সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন সবকিছুকেই রক্ষা করবে বাড়ির গোপনীয়তা। প্রযুক্তি যেমন নিজে থেকেই বেডরুম পর্যন্ত ঢুকে গিয়েছে, তেমনই অন্যভাবেও বাড়ির মধ্যে অনুপ্রবেশ সম্ভব।
[আরও পড়ুন:সুপ্রিম কোর্টে গোপনীয়তা রক্ষার রায় নিয়ে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ কী বলছেন]
এরপরই আদালত জানায়, আজকের দিনে যখন আমরা ভারতের বৈচিত্র নিয়ে গর্ববোধ করি, তখন গোপনীয়তারক্ষাও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধিকারের মধ্যেই পড়ে। ফলে গোপনীয়তারক্ষাকে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়াই বাঞ্ছনীয়।