করোনা আবহে ১৭০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণের বোঝায় ঝুঁকে পড়বে দেশ! কী জানাচ্ছে এসবিআই রিপোর্ট?
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় খরচ বেড়েছে সরকারের। যার জেরে ভারতের মোট ঋণের পরিমাণ আগামী অর্থবর্ষে ১৭০ লক্ষ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ যা দেশের জিডিপি-র ৮৭.৬ শতাংশ। জানাল এসবিআই ইকোর্যাপ।
২০২৩ অর্থবর্ষ পর্যন্ত ঋণের বোঝা আরও বেড়ে যাবে
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই ঋণের অঙ্ক ফিসক্যাল রেস্পন্সিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট-এর লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে মিলিত হয়ে ২০২৩ অর্থবর্ষ পর্যন্ত ঋণের বোঝা আরও বাড়িয়ে দেবে। যা দেশের জিডিপি-র ৬০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে।
ঋণের পরিমাণ হয়ে দাঁড়াবে ১৭০ লক্ষ কোটি টাকা
এর ফলে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আরও সাত বছর লেগে যাবে৷ অর্থাৎ ২০৩০ অর্থবর্ষে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হবে। বেশি মাত্রায় ধার ঋণের পরিমাণকে বাড়িয়ে ১৭০ লক্ষ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছে দেবে।
কী বলছে রিপোর্ট?
এরমধ্যে বাইরে থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ৬.৮ লক্ষ কোটির কাছাকাছি বেড়ে যাবে, যা দেশের জিডিপি-র প্রায় ৩.৫ শতাংশ। বাকি ঘরোয়া ঋণ, রাজ্যের ঋণ সব মিলিয়ে দাঁড়িয়ে যাবে দেশের জিডিপি-র ২৭ শতাংশ।
চলতি অর্থবর্ষেই ঋণের বোঝা প্রায় ১৪৯.৬ লক্ষ কোটি
চলতি অর্থবর্ষে দেশের ঋণের বোঝা প্রায় ১৪৯.৬ লক্ষ কোটি, যা দেশের জিডিপি-র ৭২.২ শতাংশ। ২০১২ অর্থবর্ষে ছিল প্রায় ৫৮.৮ লক্ষ কোটি টাকা।