উত্তরাখণ্ডে চিন–নেপাল সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ৪৯ জন গ্রাম প্রধানকে স্যাটেলাইট ফোন দেওয়া হবে
উত্তরাখণ্ডে চিন–নেপাল সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ৪৯ জন গ্রাম প্রধানকে স্যাটেলাইট ফোন দেওয়া হবে
পিথোরাগড় প্রশাসন উত্তরাখণ্ডের জেলা সংলগ্ন চিন ও নেপাল সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ৪৯ টি গ্রাম প্রধানকে স্যাটেলাইট ফোন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেখানে ফোন সংযোগ খুব কম রয়েছে।
টেলিকম সংস্থাগুলি টাওয়ার প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ
রাজ্য বিপর্যয় প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এসডিআরএফ)-এর পক্ষ থেকে এই ফোনগুলি জেলা প্রশাসনকে গ্রামবাসীদের ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, উঁচু-নীচু রাস্তার কারণে সরকারি বিএসএনএল সহ অন্য টেলিকমগুলি তাদের টাওয়ার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি যার কারণে গ্রামবাসীদের নেপালি সিমকার্ডের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হয়। পিথোরগড়ের জেলা প্রশাসন বিজয় কুমার যোগদাণ্ডে জানিয়েছেন যে ৪৯ গ্রামবাসীদের মধ্যে ৩৪ জন ধারচুলা তেহসিলের এবং বাকিরা মুনসায়ারির। তিনি আরও জানান, ১৯টি স্যাটেলাইট ফোন দেওয়া হয়েছে ধারচুলার বিয়াস ও দরমা এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতকে। শুক্রবার এই ফোন দেওয়া হয়েছে। বাকি ফোনগুলিও খুব শীঘ্রই দেওয়া হবে।
কলরেট খুবই চড়া
যোগদাণ্ডে জানিয়েছেন, মুনসারির ১৫ জন গ্রাম পঞ্চায়েতকে স্যাটলাইট ফোন দেওয়া হবে রবিবার। ১২ টাকা প্রতি মিনিটে চার্জ উঠবে এই ফোনের এবং প্রতি এসএমএসের জন্য ১২টাকা করে চার্জ ধরা হবে। আন্তর্জাতিক কলের ক্ষেত্রে গ্রামবাসীদের প্রতি মিনিটে চার্জ উঠবে ২৬০ টাকা করে এবং একই টাকা লাগবে এসএমএসের ক্ষেত্রেও। স্যাটেলাইট ফোনগুলি দেওয়া হবে বিয়াস, চৌদ্দাস ও দরমা উপত্যকা ও মল্লা জোহারের গ্রামবাসীদের।
দেশের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারেন না
দাতু গ্রামের সালু দাতাল জানিয়েছেন যে এখানে স্বাভাবিক পরিষেবার সমস্যা রয়েছে বলে গ্রামবাসীরা স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। দাতাল জানিয়েছেন যে তিনি নিজের দেশের যোগাযোগের নেটওয়ার্কই ব্যবহার করতে পারেন না। ধারচুলার অনেকেই নেপালি সিমকার্ড ব্যবহার করছেন। যদিও সেগুলি খুব দামি হওয়া সত্ত্বেও। কিন্তু স্যাটেলাইট ফোনের খরচ নিয়ে এখন গ্রামবাসীদের কাছে তা উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে বিয়াস, দরমা ও চৌদ্দাস এলাকার ১৪ জন গ্রাম পঞ্চায়েত মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র রাওয়াতকে স্মারকলিপি দিয়ে ফোনের কলরেট হ্রাস করার অনুরোধ করেছেন।
কলরেট হ্রাস করার আর্জি
গ্রাম প্রধান হায়াত সিং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন যে আউটগোয়িং কল রেট ২ টাকা এবং ইনকামিং কল বিনামূল্যে করে দেওয়ার। বর্তমান কলরেট গরীব গ্রামবাসীদের কাছে খুবই চড়া।
নতুন করে ছ’জন করোনা সংক্রমিত, লকডাউন করে দেওয়া হল বেজিংয়ের একাংশ