জোট ছেড়ে স্বাধীন হতে পারেন, শিবপাল যাদব ও প্রকাশ রাজভারকে হুমকি সমাজবাদী পার্টির
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার অভিযোগে এবার সমাজবাদী পার্টির মধ্যে ভাঙনের সম্ভাবনা দেখা দিল। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় এসপি জোট ভাঙার পর্যন্ত হুঁশিয়ারি দেয়। জানা গিয়েছে, সমাজবাদী পার্টি বিধায়ক শিবপাল যাদব ও এসবিএসপি প্রধান ওমপ্রকাশ রাজভরকে জোট ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় হুমকি দেওয়া হয়।
সমাজবাদী পার্টি তাদের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে শিবপাল সিং ও ওমপ্রকাশ রাজভরকে উল্লেখ করে দুটি খোলা চিঠি শেয়ার করে। সেখানে শিবপাল সিং যাদবকে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, 'শিবপাল যাদবজি, আপনি যদি মনে করেন, অন্য কোথাও বেশি সম্মান পাবেন, আপনি সেখানে চলে যেতে পারেন।' অন্য একটি টুইটি সুহেলদেব ভারতীয় সমাজপার্টির প্রধানকে উল্লেখ করে লেখা হয়েছে, 'ওমপ্রকাশ রাজভরজি, সমাজবাদী পার্টি ক্রমাগত বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আপনি বিজেপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন। আপনি যদি মনে করেন অন্য কোথাও বেশি সম্মান পাবেন, আপনি মুক্ত হতে পারেন।'
চলতি সপ্তাহে সোমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ পর্ব চলে। ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হওয়ার পরেই এসপি প্রধান অখিলেশ যাদব তাঁর কাকার বিরুদ্ধে ক্রশ ভোটিংয়ের অভিযোগ করেন। তিনি জানান, শিবরাজ সিং যাদব এনডিএ প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। বিজেপির নেতৃত্বের নির্দেশে তিনি এমন কাজ করেছেন বলে অখিলেশ যাদব অভিযোগ করেছেন। একই অভিযোগ ওমপ্রকাশ রাজভারের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে। তিনি বিজেপির নির্দেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মুর্মুকে ভোট দিয়েছিলেন। বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে তাঁর ভোট দেওয়ার কথা ছিল। এই কারণে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার তাঁকে ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিয়েছিল। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের বিরোধী শিবির থেকে ছয় জন ক্রশ ভোটিং করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু ৬৪ শতাংশ ভোটে জিতে গিয়েছেন। তিনি ভারতের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি। ২৫ মে তিনি শপথ নেবেন। রবিবার ভারতের বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়। ভোট গণনার সময় থেকেই বিজেপি ক্রশ ভোটিংয়ের কথা বলে। কিন্তু ফলাফলের সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ হতেই বিজেপির দাবি সত্যি প্রমাণিত হয়। বিরোধী শিবিরের শতাধিক বিধায়ক ক্রশ ভোটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন বলে জানা যায়। রাজস্থান ছাড়া সমস্ত রাজ্য থেকেই বিরোধী শিবিরের বিধায়কদের বিরুদ্ধে ক্রশ ভোটিংয়ের খবর পাওয়া যায়। সব থেকে অবাক করে কেরলের খবর। কেরলে দ্রৌপদী মুর্মুর একটিও ভোট পাওয়ার কথা ছিল না। কেরলে এনডিএ-র কোনও বিধায়ক নেই। সেখানেও দ্রৌপদী মুর্মুর পক্ষে ভোট পড়েছিল।