রেপো রেট ৪০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধির কথা ঘোষণা RBI গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের, বাড়তে চলেছে জমা টাকার ওপরে সুদ
দেশে মুদ্রাস্ফীতি ( inflation) আরবিআই (rbi) -এর সহনশীল মাত্রা ওপরে চলে গিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে এদিন রেপো রেট (repo rate) বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করলেন আরবিআই-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তিনি জানিয়েছেন রেপো রেট ৪০ বেসিস পয়েন্ট
দেশে মুদ্রাস্ফীতি ( inflation) আরবিআই (rbi) -এর সহনশীল মাত্রা ওপরে চলে গিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে এদিন রেপো রেট (repo rate) বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করলেন আরবিআই-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তিনি জানিয়েছেন রেপো রেট ৪০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ৪.৪০% করা হয়েছে। এর ফলে জমা টাকায় সুদের পরিমাণ বাড়তে চলেছে।
অগাস্ট ২০১৮ পরে প্রথম বৃদ্ধি
গত মাসেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছিল। সেই সময়েই অনেকে বলেছিলেন, এই মুহূর্তে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে জমা টাকায় সুদের হার বৃদ্ধি করা উচিত ছিল। সেই কাজই হল একমাস পরে। এদিন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে প্রথমে টুইট করে ঘোষণা করা হয় গভর্নর শক্তিকান্ত দাস দুপুর ২ টোয় অনলাইনে জানাবেন। সেই সময়ই শক্তিকান্ত দাস জানান, রেপো রেট ৪০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ৪.৪০ শতাংশ করা হচ্ছে। এব্যাপারে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের কথাও জানান তিনি। ২০১৮-র অগাস্টের পরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে এই ধরনের বৃদ্ধি এই প্রথম।
আপাতত ৮ জুন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বলবত
বর্তমানের মুদ্রাস্ফীতির চাপের কথাও এদিন অনলাইন সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর। এই বৃদ্ধি না হলে অর্থনীতি প্রত্যাশিত জায়গায় পৌঁছতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রেপো রেট নিয়ে আরবিআই-এর পরবর্তী আলোচনা ৮ জুন। সেই সময় পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বেড়েছে ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও
এদিন ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে। ব্যাঙ্কের যে পরিমাণ টাকা আরবিআই-এ গচ্ছিত থাকে তাই ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও। এই মুহূর্তে ব্যাঙ্ক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আরও বেশি ০.৫০% টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্কে জমা থাকবে।
ঘোষণার পরেই শেয়ার বাজারে ধাক্কা
এদিন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে রেপো রেট এবং ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই শেয়ার বাজারে ধাক্কা লাগে। সেনসেক্স এবং নিফটি পৌনে তিনটে পর্যন্ত প্রায় ২ শতাংশের মতো পড়ে যায়।
আগামী মাসগুলিতে আরও দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা
যেখানে মার্চের মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৬.৯৫%, সেই সময় এপ্রিলে আরবিআই-এর কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার সমালোচনা করেছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। যেখানে আরবিআই-এর মুদ্রাস্ফীতির সহনশীলতার মাত্রা ছয় শতাংশ। পরপর তিন মাস যা ছয় শতাংশের ওপরে রয়েছে। অর্থনীতিবিদদের একাংশ মনে করছেন, আগামী কয়েক মাসে দাম বৃদ্ধির চাপ আরও বাড়বে।