বিফলে গেল রাজনাথের কমিটি গঠনের প্রস্তাব! নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতেই অনড় বিক্ষুব্ধ কৃষকরা
বিফলে গেল রাজনাথের কমিটি গঠনের প্রস্তাব! নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতেই অনড় বিক্ষুব্ধ কৃষকরা
নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ফুঁসছে গোটা দেশ। দাবি না মানায় আন্দোলনরত কৃষকের হাতে কার্যত জব্দ কেন্দ্র সরকার। এদিকে এর মাঝেই কৃষি বিল প্রত্যাহার নিয়ে দিল্লি সীমানায় আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে মঙ্গলবারই বৈঠকে বসে কেন্দ্র। কিন্তু সেখানেও বিশেষ কোনও রফা সূত্র মেলেনি বলে শোনা যাচ্ছে। উল্টে কৃষকদের দাবি পুঁজিবাদীদের হাত শক্ত করতে ফের নয়া ফন্দি আঁটছে বিজেপি সরকার।
কারা কারা উপস্থিত ছিলেন এদিনের বৈঠকে ?
এদিকে এদিনের বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরও। অন্যদিকে দিল্লির বিজ্ঞান ভবনের এই বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লির সিঙ্গু সীমানা থেকে যান কৃষক প্রতিনিধিদের ৩৫ জনের একটি দল। কিন্তু বৈঠক শেষে আগের দাবিতেই অনড় থাকলেন কৃষকেরা।
বিফলে গেল কমিটি গঠনের প্রস্তাব
এদিকে আগাম পূর্বাভাস সত্যি করে এদিনের বৈঠকে সমস্যা সমাধানের জন্য একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন রাজনাথ। কিন্তু আইন প্রত্যাহারের বদলে এই কমিটিতে রাজি হয়নি কৃষক নেতারা। যদিও কৃষকদের দাবি দাওয়া শুনতে সেই কমিটিতে কৃষক ও সরকার-সহ সব পক্ষকেই রাখাতে চেয়েছিল সরকার, কিন্তু তাতে সায় নেই কৃষক নেতাদের। বিক্ষুব্ধ কৃষকদের সাফ বক্তব্য, যত দ্রুত সম্ভব তিনটি কৃষি আইন বাতিল করতে হবে, অন্যথায় গোটা দেশব্যাপী কৃষক আন্দোলন আরও জোরদার হবে। কাজ হবে না কমিটি তৈরি করেও।
আলোচনার কৌশল ঠিক আগেই মাটে নামেন অমিত শাহ
অন্যদিকে আলোচনার কৌশল ঠিক করতে আগে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার বাড়িতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন রাজনাথ। কিন্তু তাতেও যে বিশেষ চিঁড়ে ভিজল না তা বৈঠকের ফলাফলেই পরিষ্কার। অন্যদিকে এর আগে ৩ ডিসেম্বর কৃষকদের সঙ্গে শর্তসাপেক্ষে একটি বৈঠকের কথা জানায়। কিন্তু কৃষকদের এই দিল্লি চলো অভিযানের অভিযমুখ বদলাতে রাজি হয়নি আন্দোলনরত কৃষকরা। উল্টে দিল্লিগামী পাঁচটি জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকী দেন বিক্ষুব্ধ কৃষকরা।
চাপের মুখে পড়েই ১ তারিখ বৈঠকের পথে হাঁটে কেন্দ্র
আর এরপরেই চাপে পড়ে ১ তারিখেই বৈঠকে বসতে রাজি হয় কেন্দ্র। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার গভীর রাতে তীব্র ঠাণ্ডার কবলে পড়ে মারা যান বিক্ষোভরত এক কৃষক। যা নিয়েও নতুন করে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে আন্দোলনরত কৃষকদের মধ্যে। এমনকী এদিন সারাদিন ট্রাক্টর নামিয়েও একাধিক জায়াগায় বিশালাকার ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে কৃষকরা। এদিকে গত সপ্তাহ থেকেই আন্দোলনরত কৃশকদের উপর একটানা জলকামান, লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি হরিয়ানা পুলিশ।
এ রাজ্যে প্রথম ভ্যাকসিন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন রাজনৈতিক নেতা থেকে আইপিএস অফিসাররা