এবার টার্গেট বাংলা, দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে বাংলায় সরকার গড়বে বিজেপি, দাবি রাজনাথের
এবার টার্গেট বাংলা, দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বাংলায় সরকার গড়বে বিজেপি, দাবি রাজনাথের
বাংলার বিধানসভা ভোটে ২০০ আসনের টার্গেট দিয়ে গিয়েছেন বিজেপির চাণক্য অমিত শাহ। এবার সেই সুরে সুর মিলিয়েই আস্ফালন শুরু করলেন বিজেপি নেতা রাজনাথ সিং। তিনি দাবি করেছেন একুশের ভোটে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে বাংলায় সরকার গড়বে বিজেপি। বিজেপি যে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে বাংলার বিধানসভা ভোটকে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মন্তব্য।
বাংলায় সরকার গড়বে বিজেপি
সূত্র বেঁধে দিয়ে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। এবার আর এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ বিজেপি। দিল্লির নেতারাও ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বঙ্গ দখলের লড়াইয়ে। রাজনাথ সিং দাবি করেছেন বাংলায় দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়বে বিজেপি। সেটা যে এক প্রকার নিশ্চিত তা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন একটি সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে। কোনওভাবেই বিজেপি এবার আর বাংলার মাটি ছাড়তে চাইছে না। বিহার দখল হয়ে গিয়েছে এবার টার্গেট বাংলা।
২০০ আসনের টার্গেট
লোকসভায় ৪২টির মধ্যে ১৮টি আসন দখলে রেখেছিল বিজেপি। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ২২টি আসন। সবকটি কেন্দ্রেই বিজেপি প্রার্থীদের সঙ্গে ভোটের ব্যবধান সামান্যই ছিল তৃণমূলের। কাজেই নবান্ন আর বেশি দূরে নেই অনুমান করেই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দিল্লির বিজেপি নেতারা। বাংলা দখলের মরিয়া চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন অমিত শাহরা। বাংলায় সফরে এসে একের পর এক চমক দিয়েছেন তিনি। বঙ্গের দলীয় কর্মীদের ২০০ আসনের টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহ।
মোদী বনাম মমতা
কোনও মুখ্যমন্ত্রী মুখ না রেখেই একুশের ভোটের ময়দানে নামছে বিজেপি। অমিত শাহ বাংলায় এসে বলে গিয়েছেন, আমাদের কোনও মুখ্যমন্ত্রী মুখ নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই সারা ভরতে বিজেপির মুখ। এবং তাঁকে সামনে রেখেই বাংলাতেও লড়বে বিজেপি। কাজেই এবার একুশের ভোটে লড়াইটা হতে চলেছে মোদী বনাম মমতার। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ডিসেম্বরেই রাজ্যে আসছেন মোদী
একুশের ভোটকে টার্গেট করে ডিসেম্বর মাসেই বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদী। বঙ্গে বিজেপি নেতা কর্মীদের চাঙ্গা করতেউ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই বাংলা সফর বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। একই সঙ্গে এবার থেকে প্রায় প্রতিমাসেই বাংলায় আসবেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা। প্রতিমাসে ২ থেকে ৩ দিন করে রাজ্যে থাকবেন তাঁরা।