বুধবার মাইকে আজান বাজলেই বাজবে হনুমান চালিসাও! ঠাকরের নির্দেশ ঘিরে বাড়ছে শঙ্কা
হনুমান চালিসা বিতর্কে নয়া মোড়! যে সমস্ত লাউড স্পিকারে আজান বাজবে, তার সামনে হনুমান চালিসা বাজানোর নির্দেশ রাজ ঠাকরে। আর এতে তাঁরা বুঝবেন ঠিক কতটা সমস্যা হয় এতে। আজান বিতর্কে এর আগে সরকারকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন
হনুমান চালিসা বিতর্কে নয়া মোড়! যে সমস্ত লাউড স্পিকারে আজান বাজবে, তার সামনে হনুমান চালিসা বাজানোর নির্দেশ রাজ ঠাকরে। আর এতে তাঁরা বুঝবেন ঠিক কতটা সমস্যা হয় এতে। আজান বিতর্কে এর আগে সরকারকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্র নবনির্মান সেনা সুপ্রিমো।
স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিন তারিখের মধ্যে সমস্ত মসজিদ থেকে লাউড স্পিকার খুলতে হবে। আর এজন্যে তিন তারিখ পর্যন্ত সময়ও বেঁধে দেন রাজ ঠাকরে। আর সেই সময়সীমা আজ মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে। আর এরপরেই রাজ ঠাকরে'র হুঁশিয়ারি, যেখানেই চার তারিখ থেকে আজান বাজবে পালটা হনুমান চালিসা বাজাতে হবে। আর এহেন হুঁশিয়ারি ঘিরেই নতুন করে আশঙ্কার কালো মেঘ তৈরি হচ্ছে।
যদিও তাঁর বক্তব্যে রাজ ঠাকরে বলেন, মসজিদের উপর লাগানো লাইডস্পিকার চার মে'র মধ্যে খুলে ফেলতে হবে। আর এই বিষয়েও সরকারকেও জানানো হয়। কিন্তু রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ভাবে এই বিষয়ে উদাসীন বলে দাবি মহারাষ্ট্র নবনির্মান সেনা সুপ্রিমো। তাঁর মতে, সরকারের সমস্ত ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টের বিষয় টেনে আনে। কিন্তু আদালত বয়স্ক, অসুস্থ, ছোট বাচ্চা, ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবে স্পষ্ট জানিয়েছিল, রাত ১০ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত লাউড স্পিকার লাগানোর জন্যে কোনও অনুমতি পাবে না।
আর এই প্রসঙ্গ টেনেই ঠাকরে বলেন, প্রত্যেক ধর্মের মানুষই উৎসবের মরশুমে লাউডস্পিকার লাগানোর অনুমতি পান। তা বলে ৩৬৫ দিন তা পাবে এমন ঠিক নয় বলেও দাবি। তাঁর মতে, লাউড স্পিকারের থেকে বের হওয় শব্দও সমস্যা তৈরি করে। শুধু তাই নয়, রাস্তায় বসে নমাজ পড়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাকে সমস্যায় ফেলে দেওয়া কোনও ধর্মে শেখানো হয়? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সুপ্রিমো। তবে তবে বিষয়টি ধার্মিক নয়, সামাজিক বলে দাবি রাজ ঠাকরের। তবে এতে ধর্মের রঙ লাগানোর চেষ্টা হলে তাঁদের তরফে যোগ্য উত্তর দেওয়া হবে বলে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি তাঁর।
উল্লেখ্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ ওয়ালসে পাতিলের একটি বৈঠক করেছেন। মহারাষ্ট্রের ডিজিপি রজনীশ শেঠ জানিয়েছেন, যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবেলায় তৈরি আমরা। এমনকি পুলিশ প্রশাসন সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলেও জানান পুলিশ কর্তা।
একই সঙ্গে ডিজিপি জানিয়েছেন, আমরা আমাদের সব পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি কঠোরভাবে তৈরি হওয়া যে কোনও পরিস্থিতি'র মোকাবেলা করতে হবে। তবে কেউ যেন আইন হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা না করে সে বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশ কর্তার।