কাশ্মীরে পদযাত্রা করার খোলা চ্যালেঞ্জ অমিত শাহকে, ভারত জোড়ো যাত্রা শেষে রাহুল
রাহুল গান্ধী বলেন, বিজেপি ও আরএসএসের ঘৃণার বিরুদ্ধে এই ভারত জোড়ো যাত্রা। এই যাত্রা ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্বের একটি বিকল্প পথ দেখিয়েছে।
ভারত জোড়ো যাত্রা শেষ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে খোলা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন রাহুল গান্ধী। ১৪৫ দিনের যাত্রা শেষ। মহাত্মার প্রয়াণ দিবসে কাশ্মীরে সমাবেশ থেকে রাহুল বলেন, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি যদি ঠিকঠাক হয়েছে বলে মনে করেন, তবে সেখানে পদযাত্রা করুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সোমবার কাশ্মীরের লালচকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ভারত জোড়ো যাত্রার শেষদিনের পথচলা শুরু করেন রাহুল গান্ধী। তারপর বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের কেউ খুশি নন। তারপরই তিনি অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন জম্মু থেকে লালচক পর্যন্ত পদযাত্রা করার।
রাহুল বলেন, কেন্দ্র যদি দাবি করে থাকে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি ঠিকঠাক রয়েছে, তবে আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানে যাত্রা করতেই পারেন। কিন্তু কোনও বিজেপি সদস্যই তা করার সাহস দেখাননি। বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের ভূমিতে বিজেপির কোনও সদস্য এভাবে হাঁটতে পারবেন না। তাঁরা ভয় পান বলেও খোঁচা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী।
রাহুল গান্ধী বলেন, বিজেপি ও আরএসএসের ঘৃণার বিরুদ্ধে এই ভারত জোড়ো যাত্রা। এই যাত্রা ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্বের একটি বিকল্প পথ দেখিয়েছে। তাঁর কথায়, জীবনের দুটি পথ রয়েছে, একটি হল সকলকে ঐক্যবদ্ধ করা, অপরটি হল সকলকে দাবিয়ে রাখা। আরএসএস আর বিজেপি দেশের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দিতে চাইছে। সর্বক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করছে।
রাহুল গান্ধী জম্মু ও কাশ্মীরে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি বলেন, শ্রীনগরে এই যাত্রা শুরুর মুখে নিরাপত্তারক্ষীরা বলেছিলেন সারা ভারত ও জম্মুতে তিনি হেঁটে যাত্রা করতে পারেন, কিন্তু কাশ্মীরে শেষ চারদিন যানবাহন ব্যবহার করাই শ্রেয়। এমনকী তাঁকে বলা হয়েছিল তিনি যদি পায়ে হেঁটে যান তবে তাঁকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়া হতে পারে।
এরপর রাহুল বলেন, কাশ্মীরের মানুষ তা মিথ্যা প্রমাণিত করেছে। কাশ্মীরের মানুষ আমাকে হৃদয়ভরা ভালোবাসা দিয়েছে। আমিও চেয়েছি এই ভারত জোড়ো যাত্রায় কাশ্মীরের সঙ্গে সারা দেশে ভালোবাসার ফুল ফোটাতে। তিনি এদিন কাশ্মীরকে নিজের বাড়ি বলে ব্যাখ্যা করেন।
রাহুল বলেন, যদি তিনি তাঁর বাড়িতে যান, তবে প্রতিবেশীদের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাওয়াই উচিত হবে। আর তিনি সমস্ত সতর্কতামূলক মন্তব্যের তোয়াক্কা না করে হেঁটেই পরিক্রমা শেষ করেছেন ভারত জোড়ো যাত্রার। এরপর তিনি বলেন, আমি ভেবেছিলাম যাঁরা আমাকে ঘৃণা করে, তাঁদের একটা সুযোগ দেওয়া উচিত। যাতে তাঁরা আমাকে ভালোবাসতে পারে। আর তা যদি না পারে বড়জোর আমার সাদা টি সার্ট তাঁরা লাল রক্ষে বদলে দিতে পারেন। কিন্তু কাশ্মীর তাঁকে গ্রেনেড নয়, ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছে।