সিপিএম মুক্ত ভারত..., জোটসঙ্গী যখন বিরোধী! বিজেপি-বাম আঁতাত নিয়ে অভিযোগ রাহুলের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ সাল থেকেই 'কংগ্রেস মুক্ত ভারত'-এর ডাক দিয়ে এসেছেন। এবার মোদীর সেই স্লোগানের প্রেক্ষিতেই বিজেপি-সিপিএম-এর আঁতাত নিয়ে সরব হন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। উল্লেখ্য, পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের তিন রাজ্যে সিপিএমের সঙ্গে জোট বেঁধেছে কংগ্রেস। তবে কেলরে এই দুই দল প্রধান প্রতিপক্ষ।
মোদী 'সিপিএম মুক্ত ভারত' চান না কেন?
এদিন রাহুল গান্ধী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী যেখানেই যান, সেখানে বলেন, 'কংগ্রেস মুক্ত ভারত চাই'। সকালে ঘুম থেকে উঠএ তিনি বলেন, কংগ্রেস মুক্ত ভারত চাই। কিন্তু কোনওদিন কেন সিপিএম মুক্ত ভারতের দাবি জানান না তিনি? আমার মনে হয় ওনার সিপিএমের সঙ্গে কোনও অসুবিধে নেই। শুধুমাত্র কংগ্রেসের সঙ্গেই ওনার অসুবিধে।'
'বামফ্রন্ট সবাইকে বিভিক্ত করে'
এদিন রাহুল গান্ধী বলেন, 'আমরা যেখানেই যাই আমরা সেখানেই সবাইকে সংঘবদ্ধ করি। শক্তিশালী করে তুলি সবাইকে। আমরা সবাইকে খুঁজে বের করে তাদেরকে শক্তিশালী করি। কিন্তু বামফ্রন্ট সবাইকে বিভিক্ত করে। এদিকে আরএসএস-ও সেরমই। তারাও এমন শক্তিকে ভয় পায়, যারা সবাইকে সংঘবদ্ধ করতে জানে।'
আরএসএস এবং বাম দলগুলিকে এক আসনে বসান রাহুল
এদিন আরএসএস এবং বাম দলগুলিকে এক আসনে বসান রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, 'আরএসএস বোঝে যে তাদেরই মতো বাম ফ্রন্টও সমাজকে বিভাজিত করে। বাম ফ্রন্টের নীতিও হিংসা ছড়ানোর। কংগ্রেস কখনও হিংসা ছড়ায় না। কোনও বিভাজন দেশের পক্ষে ভালো নয়। এতে দেশ দুর্বল হয়ে যায়। কংগ্রেসের নীতি বলে, সব ভারতীয় সমান।'
কংগ্রেসের নীতি নিয়ে রাহুলের বক্তব্য
এদিন কংগ্রেসের হয়ে ব্যাট ধরে রাহুল গান্ধী বলেন, 'কংগ্রেসের ঐক্যের নীতি কয়েক দশক ধরে চলে আসছে। এবং ভবিষ্যতেও এটা চলতে থাকবে। ভারতে আজ যতটুকু উন্নয়ন দেখা যায়, সেটা কংগ্রেসের নীতির কারণে হয়েছে। ভারতীয়রা যতটুকু সাফল্য পেয়েছে, সেটা কংগ্রেসের নীতি অনুসরণ করেই মিলেছে।'