'প্রধানমন্ত্রীর পরীক্ষাগারের নতুন পরীক্ষা অগ্নিপথ প্রকল্প' , কেন্দ্রকে খোঁচা রাহুলের
Array
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী রবিবার অগ্নিপথ সামরিক নিয়োগ প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ল্যাবরেটরিতে এটা নতুন পরীক্ষা। এর জন্য দেশের নিরাপত্তা এবং যুবকদের ভবিষ্যত অন্ধকারের মধ্যে চলে যাবে।
রাহুল গান্ধী হিন্দিতে একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, প্রতি বছর ষাট জন সৈন্য অবসর নেয়, যার মধ্যে মাত্র ৩০০০ জন সরকারি চাকরি পাচ্ছেন। প্রাক্তন কংগ্রেস প্রধান প্রশ্ন করেন, "৪ বছরের চুক্তির পরে অবসর নেওয়া হাজার হাজার 'অগ্নিবীরদের' ভবিষ্যত কী হবে,"। গান্ধী বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর পরীক্ষাগারের এই নতুন পরীক্ষার ফলে, দেশের নিরাপত্তা এবং যুবকদের ভবিষ্যত উভয়ই বিপদের মধ্যে রয়েছে।"
প্রসঙ্গত এই প্রকল্পের ঘোষণার পর থেকেই দেশের বেশ কয়েকটি অংশে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল। ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সী যুবকদের মাত্র চার বছরের জন্য নিয়োগ করা হবে। এঁদের মধ্য ২৫ শতাংশকে আরও ১৫ বছর ধরে রাখার বিধান দেওয়া হয়েছে। পরে বিক্ষোভ বাড়তে থাকায় বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই প্রকল্প নিয়ে। ওই প্রতিবাদের রেশ কমাতে অতিরিক্ত সচিব, সামরিক বিষয়ক, লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরি বলেছিলেন, অগ্নিবীররা যদি কোথাও লড়াইয়ে যান তাহলে অবশ্যই পরম বীর চক্রও পাবেন। এমনকি গ্যালেন্ট্রি পুরস্কারও মিলবে বলে সেনার তরফে জানানো হবে। কোনও ভাবেই অগ্নিবীরদের আলাদা ভাবে দেখা হবে না বলে আশ্বাস সেনা আধিকারিকের। তাঁর দাবি ছিল, আমরা দেশভক্তিতে উদ্ভূত যুবকদের সুযোগ করে দিতে চাই। পুরি বলেছিলেন, অগ্নিপথ মেধাকে আকর্ষণ করার একটি অসাধারন যোজনা।
সেনাকর্তা বলেছিলেন, ফৌজে কাজ করার একটা প্যাশান আছে। এখানে চাকরি করার কোনও সুযোগ নেই। চিন, আমেরিকা এবং ইজরায়েলের উদাহারণ তুলে ধরে লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরি বলেন, সেনায় সার্ভিস কতদিনের হবে। কীভাবে প্রশিক্ষন হয়। এখন বিভিন্ন জায়গাতে যুবকরা নতুন করে ফিজিক্যাল প্র্যাকটিস শুরু করে দিয়েছে। আমরা সৈনিক পেশায় আছি। এটাই দেশের সবথেকে বড় অ্যাসেট বলে দাবি করেন জেনারেল পুরি। তবে তাঁর মতে, যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে তা দেশের সুরক্ষার প্রশ্নে হবে।
সোমবারে শপথ নেবেন দ্রৌপদী মুর্মু, পড়নে থাকতে পারে বিশেষ সাঁওতালি পোশাক
অগ্নিবীর কেন, আর এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে গিয়ে সেনাকর্তা বলেছিলেন, অরুণ সিং কমিটি ১৯৮৯ সালে, কার্গিল রিভিউ কমিটি ২০০০ সালে, গ্রুপ অফ মিনিস্টার্স ২০০১ সালে, শেখটকর কমিটিও এই বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে। তবে ১৯৮৯ সালে তৈরি হওয়া কমিটি জানিয়েছিল, আমাদের জওয়ানদের বয়স কমাতে হবে এবং যারা তাদের কমান্ড করবে তাদের বয়স কমাতে হবে। কমিটিগুলি প্রতিরক্ষা সংস্কার, সিডিএস মোতায়েন, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা, আধুনিকীকরণ ইত্যাদির সুপারিশ করেছিল।