আকাশ কাঁপিয়ে ভারত এল রাফাল যুদ্ধবিমান, কেন বায়ুসেনার এই বিশেষ সমরাস্ত্রকে সেরা বলা হচ্ছে জানেন কি
নতুন ইতিহাস রচটনা হল ভারতীয় বায়ুসেনার হাত ধরে। বুধবারই হরিয়ানার আম্বালা বিমান ঘাঁটিতে সফল অবতরণ করে ফ্রান্স থেকে আগত পাঁচটি বিধ্বংস রাফাল যুদ্ধ বিমান। ফ্রান্স থেকে আগত এই পাঁচটি বিমানকেই স্বাগত জানাতে আম্বালায় উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আর কে ভাদোরিয়া। যিনি আবার ২০১৬ সালে ভারত-ফ্রান্স রাফাল চুক্তিতে অতি-গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। কিন্তু কি বিশেষ গুণাবলী রয়েছে এই রাফাল যুদ্ধ বিমানের?
আকাশ-যুদ্ধে পাকিস্তান-চিনের থেকে শক্তি বাড়ল ভারতের
সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেনার এই নতুন সমরাস্ত্রের হাত ধরে অনেকটাই শক্তি বাড়তে চলেছে ভারতীয় সেনার। যার জেরে আকাশ যুদ্ধে এখন থেকে প্রতিবেশী ‘শত্রু' চিন ও পাকিস্তানের থেকে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে ভারত। প্রায় ৭ হাজার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ফ্রান্স থেকে ভারতে এই যুদ্ধবিমানকে নিয়ে আসেন ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলটেরা। রাফালে খাকছে ‘এয়ার টু সারফেস' ক্ষেপণাস্ত্র।
থাকছে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সমাহার
একইসাথে রাফালে খাকছে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সমাহারও। থাকছে ক্ষেপণাস্ত্র মেটেওর। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন একদিন পাঁচবার শত্রুকে নিকেশ করতে পারে এই বিশেষ ক্ষমতাশালী ফাইটার জেট। এমনকী পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতেও বিশেষ ভাবে সক্ষম এই সমরাস্ত্র। পাশাপাশি এর মধ্যেই এয়ার-টু- এয়ার এবং স্কাল্প ক্রুইস ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে।
দেড় হাজার কিলোমিটার দূর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়তে পারদর্শী রাফাল
এদিকে ২০১৬ সালের ভারত ও ফ্রান্সের চুক্তি অনুযায়ী বর্তমানে ৩৬টি রাফালে যুদ্ধবিমান পাওয়ার কথা রয়েছে ভারতের। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন ১ হাজার থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরত্বে থেকেও শত্রুকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়তে সক্ষম রাফাল। বালাকোট এযার স্ট্রাইকের সময় যেমন পাকিস্তানের ঘরে ঢুকে জঙ্গি নিকেশ করতে হয়েছিল ভারতকে, রাফাল এসে যাওয়াই সেই ঝুঁকি এখন অনেকটাই এড়ানো সম্ভব হবে বলে জানা যাচ্ছে।
উচ্ছসিত বায়ুসেনার আধিকারিকেরা
বিশেষজ্ঞারা এও জানাচ্ছেন এই রাফাল ফাইটার জেটেই থাকছে মাইকো, এএম৩৯ এক্সোসেট ক্ষেপণাস্ত্র। যা যুদ্ধক্ষেত্রে দূর থেকেই শত্রুকে পরাস্ত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। একইসাথে ভারী যুদ্ধযান বহনের ক্ষেত্রেও বিশেষ ভাবে পারদর্শী রাফাল যুদ্ধবিমান। বর্তমানে অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমান পেয়ে স্বভাবতই অনেকটাই উজ্জীবিত বায়ুসেনার আধিকারিকেরা।