অবশেষে মিলল রবীন্দ্রনাথের নোবেল পদক! খোঁজ দিলেন কে জানেন
রবীন্দ্রনাথের নোবেল নিয়ে বিপ্লব দেবের দাবি, রবীন্দ্রনাথ ব্রিটিশদের প্রতিবাদে নোবেল ফিরিয়ে দেন, রবীন্দ্রনাথের নোবেল এবং বিপ্লব দেব
অবশেষে পাওয়া গেল রবীন্দ্রনাথের নোবেল পদক। ওটা আর কোথাও নয়, রয়েছে সুইস অ্যাকাডেমীর কাছেই। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরির সমাধান করবেনই। তিনি সে কথা রাখতে পারেননি। কিন্তু দেশের আরেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেই রহস্যের সমাধান করে দিলেন। তিনি, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনেই হদিশ দিলেন সেই পদকের। জানালেন, রবীন্দ্রনাথ ব্রিটিশ রাজের বিরোধিতায় ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সেই পদক। [মুখ খুললেই 'কেলোর কীর্তি'! এযাবৎকালে বিপ্লব দেবের 'বৈপ্লবিক বাণী' একনজরে]
'বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি'! সত্যি কত কম জানা আমাদের। ইতিহাস ভূগোলের জ্ঞান কত কম। আমরা যেমন জানতাম না রবীন্দ্রনাথের 'জীবন যখন শুকায়ে যায়', গানের অনুপ্রেরণা কি ছিল। এই দুদিন আগে জেনেছি গান্ধীর শুকিয়ে যাওয়া দেহ! তাঁকে বেলেঘাটায় ফলের রস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করিয়ে গিয়েই রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন ওই গান। সে তথ্য দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেরকম আমরা জানতাম শান্তিনিকেতনের সংগ্রহশালা থেকে রবীন্দ্রনাথের নোবেল পদক চুরি গিয়েছিল। কিন্তু বিপ্লব বাবু আমাদের জানালেন আসল সত্যটা। সেই রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীর দিনেই, এক বক্তৃতায়। তার ভিডিয়ো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়তেই নোবেল রহস্যের সত্যিটা জানা গেল। ত্রিপুরার উদয়পুরের এক সভায় বলতে উঠে তিনি জানান, 'রবীন্দ্রনাথ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে নোবেল পদক ত্যাগ করেন।'
জালিয়ানওয়ালাবাগের নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে এরকম একটা কান্ড রবি ঠাকুর ঘটিয়েছিলেন আমরা জানতাম। তবে সেটা শুনেছিলাম নাইটহুড, বা স্যার উপাধী। যা ব্রিটিশ সরকার দিয়ে থাকে। কিন্তু কতটুকুই বা আমাদের জানা? বিপ্লব বাবু বলছেন যখন, তাই হবে হয়ত। কাজেই, রবীন্দ্রনাথ যখন ফিরিয়েই দিয়েছিলেন, তখন তা নিশ্চয়ই আছে সুইস অ্যাকাডেমীর কাছেই। তারাই তো সাহিত্যে নোবেল দেয়। তবে অনেক দিন আগের ব্যাপার তো, খুঁজে নাও পেতে পারে। অবশ্য তাদেরই বা কী কাজ? আর্থিক ও যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে তো এবছর নোবেল প্রাপক বাছতে হচ্ছে না। আফশোস একটাই, বিপ্লব বাবু যদি আরও আগে জানাতেন, পশ্চিমবঙ্গে নোবেল চুরির তদন্তে এত টাকা, পুলিশ-গোয়েন্দাদের বুদ্ধি খরচ হত না।