জিয়া খান মামলা : রাবিয়া মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন, বললেন আদিত্য পাঞ্চালি
শনিবার ফের বম্বে হাই কোর্টে রাবিয়া খান অভিযোগ তোলেন জিয়া আত্মহত্যা করেনি তাঁকে খুন করা হয়েছে। বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট-এর হস্তক্ষেপ দাবি করেন রাবিয়া।
রাবিয়ার আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁরা সাক্ষীর যে কথপোকথন রেকর্ড করেছেন তা পুলিশের রেকর্ড করা কথপোকথনের চেয়ে আলাদা। গত চার মাস ধরে এই মামলার সুরাহা করতে ব্যক্তিগতভাবেই তদন্ত ও স্টিং অপারেশন চালাচ্ছিলেন তারা। আর এই তদন্তে যা যা তথ্য প্রমাণ মিলেছে তা সবকিছুই জিয়ার খুনের দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাবিয়ার আইনজীবী দীনেশ তিওয়ারি।
জিয়া খান মামলায় স্টিংঅপারেশন চালিয়েছেন রাবিয়া,তাঁর দাবি,ইঙ্গিত জিয়া খানের খুনেরই
দীনেশবাবু বলেন, জিয়ার শরীরে অনেক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে, যা প্রমাণ করে এটা আত্মহত্যা নয়। যদিও এই ক্ষতচিহ্নের কোনও যুক্তিও দিতে পারেননি কেউ। রাবিয়ার এহেন অভিযোগে যার পর নাই চটেছেন আদিত্য পাঞ্চালি।
আদিত্য জানিয়েছেন, উনি (রাবিয়া) চেষ্টা করে চলেছেন আমার পরিবাররে বিপদে ফেলার তবু আমি বলব, ওর জন্য খারাপ লাগছে। আমার মনে হয় ওঁর একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেওয়া উচিত। আদিত্যর অনুমান অন্য কারোর কথায় তাঁর ছেলে সুরজ পাঞ্চালির বিরুদ্ধে এই মামলাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন কোনও কারণ ছাড়াই।
আদিত্য আরও বলেন, আমার ছেলের একমাত্র অপরাধ ও একজন অস্থির মানসিকতার মেয়ের প্রেমে পড়েছিল। তারই খেসারত দিতে হচ্ছে সুরজকে। মনে মনে রাবিয়া জানানে আমার ছেলে নির্দোষ, কিন্তু শুধুমাত্র মেয়ের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণবাবদ টাকা নেওয়ার জন্য রাবিয়া বিষয়টিকে এতদূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। উনি নিজের মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন।