শশীকলার স্বামীর অঙ্গ প্রতিস্থাপনে ব্যাপক বেনিয়মের অভিযোগ
শশীকলা নটরাজনের স্বামী এম নটরাজনের কিডনি ও লিভার প্রতিস্থাপন নিয়েও দুর্নীতি ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠল এবার
শশীকলা নটরাজনের স্বামী এম নটরাজনের কিডনি ও লিভার প্রতিস্থাপন নিয়েও দুর্নীতি ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠল এবার। সম্প্রতি অসুস্থ স্বামীকে দেখতে প্যারোলে মুক্তি পান শশীকলা নটরাজন। তার ঠিক আগেই তাঁর স্বামীর লিভার ও কিডনি প্রতিস্থাপন হয়। কিন্তু এই প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রেও উঠে এসেছে নিয়ম-কানুনকে বুড়ো আঙুল দেখানোর অভিযোগ।
গত ৪ অক্টোবর চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে বলা হয়, অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন শশীকলার স্বামী এম নটরাজন। তাঁর কিডনি ও লিভার একেবারেই বিকল হয়ে গিয়েছে। কিন্ত ঠিক দুদিনের মাথায় চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতাল বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, কার্তিক নামে এক ১৯ বছরের কিশোরের ব্রেন-ডেথ হয়েছে। তার কিডনি, লিভার, হৃদযন্ত্র ও ফুসফুস হাসপাতালের মধ্যেই প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কার্তিকের হৃদযন্ত্র ৪৩ বছরের এক ব্যক্তি পেয়েছেন, তার ফুসফুস উত্তরপ্রদেশের ৬২ বছরের এক ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এবং তার কিডনি ৭৪ বছরের এক ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। পরিচয় জানানো না হলেও তৃতীয় ব্যক্তিই যে এম নটরাজন তা আঁচ করছেন অনেকেই।
কিন্তু হাসপাতালের গোপন রেকর্ড ঘেঁটে দেখা যায়, ২৮শে সেপ্টেম্বরই কিডনি ও লিভার প্রতিস্থাপন হয়েছে এম নটরাজনের। এরপরই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ে। জানা যায়, এয়ার-অ্যাম্বুলেন্সে করে কার্তিককে অ্য়াপোলো হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু ত্রিচির একজন দিনমজুর তাঁর ছেলেকে ব্যয়বহুল এয়ার অ্য়াম্বুলেন্সে কীভাবে আনতে পারলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কার্তিকের এক বন্ধু যদিও জানাচ্ছেন যে, কার্তিককে সড়কপথেই চেন্নাই আনা হয়েছে, কিন্তু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কিন্তু অন্য কথাই বলছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, কার্তিককে যখন চেন্নাই বিমানবন্দরে নামানো হয়, তখনই তার মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অ্যাপোলো হাসপাতালের এক চিকিৎসকের সন্দেহ, মৃত অবস্থাতেই ত্রিচি থেকে চেন্নাই উড়িয়ে আনা হয়েছে কার্তিককে। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, দেহ নয় শুধুমাত্র অঙ্গকেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে হয় গ্রিন করিডোর দিয়ে। পাশাপাশি, অঙ্গ প্রতিস্থাপনের বিষয়টিও ক্রমানুসারে হয়। এম নটরাজনের আগে যাঁদের নাম অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য় নথিভুক্ত হয়েছে নিয়ম অনুযায়ী তাঁদেরই আগে অঙ্গ পাওয়ার কথা।
তাহলে কী সত্যিই ভিভিআইপি এম নটরাজনের জন্য নিয়ম কানুনকে বুড়ো আঙুল দেখানো হয়েছে। শুধু শশীকলার স্বামী বলেই কি অঙ্গ প্রতিস্থাপনের নিয়মে কারচুপি করা হয়েছে। এখন এই প্রশ্নই সামনে আসছে।