পাঞ্জাবে একদিনে মৃত ৯৮ জন, লুধিয়ানায় অটো–সাইকেলে করে শ্মশানে পৌঁছালো কোভিড দেহ
পাঞ্জাবে একদিনে মৃত ৯৮ জন, লুধিয়ানায় অটো–সাইকেলে করে শ্মশানে পৌঁছালো কোভিড দেহ
করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েভের কারণে দেশের পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে এগোচ্ছে। এ বছর একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড গড়ল পাঞ্জাব। এ রাজ্যে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৯৮ জনের এবং গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৬৩১৮ জন।
২৪ এপ্রিল মৃত্যু হয় ৯২ জনের
দু'দিন আগেই ২৪ এপ্রিল পাঞ্জাবে একদিনে মৃত্যু হয়েছিল ৯২ জনের। তবে গত বছর মহামারি শুরু হওয়ার পর ২ সেপ্টেম্বর পাঞ্জাবে একদিনে ১০৬ জনের মৃত্যু রেকর্ড গড়েছিল। মঙ্গলবার ৯৮ জনের মৃত্যু নিয়ে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮,৫৩০।
বিভিন্ন জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা
জেলা ভিত্তিক মৃত্যুর সংখ্যাকে ভাঙলে দেখা যাবে ১৪ জন মারা গিয়েছে পাতিয়ালাতে, ১১ জন করে মৃত্যু হয়েছে অমৃতসর ও সাস নগরে (মোহালি), ১০ জন লুধিয়ানায়, সাত জন করে সাঙ্গরুর, গুরুদাসপুর ও হোশিয়ারপুরে, ছয় জন জলন্ধরে, চার ভাতিন্ডায়, তিনজন করে মুক্তাসার ও পাঠানকোটে, ২ জন করে তর্ন তরান, মানসা, মোগা, রোপার এবং এসবিএস নগর এবং একজন মারা গিয়েছে ফরিদকোটে। পাঞ্জাবে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৪৫,৩৬৬ এবং মোট সক্রিয় কেসের সংখ্যা ৪৯,৮৯৪।
অধিকাংশ নতুন কেস লুধিয়ানা থেকে
নতুন কেসের মধ্যে অধিকাংশই লুধিয়ানা (৭৫৩), সাস নগর (৭৪৯), জলন্ধর (৬৫৮) এবং ভাতিন্ডা (৪৬৮) থেকে রয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যে ৮৫ জন রোগী গুরুতর ও ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রয়েছে এবং ৬৬৫ জন অক্সিজেন সাপোর্টে আছে। সোমবার পাঞ্জাবে মোট ৩০.৭০ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
মর্মান্তিক! অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে করোনায় মৃতের দেহ বাইকে করে শশ্মানে নিয়ে গেল পরিবার
কোভিডে মৃতদের পরিবারের হেনস্থা
অন্যদিকে, করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে হাসপাতাল থেকে শ্মশান কথাও জায়গা নেই। কোভিডে প্রিয়জনকে হারিয়ে পরিবাররা তাঁদের শেষ বিদায় জানানোর জন্যও সংগ্রাম করে চলেছে। লুধিয়ানায় এক সরকারি হাসপাতালে মৃত কোভিড রোগীর পরিবার অভিযোগ করেছে যে হাসপাতালের কাছে শ্মশানে নিয়ে যাওয়ীর জন্য বেসরকারি পরিবহন অতিরিক্ত টাকা চেয়েছে। জানা গিয়েছে, সরকারি হাসপাতাল থেকে খুব কাছেই ঢোলেওয়াল বৈদ্যুতিন শ্মশান, বাধ্য হয়ে ছেলে তাঁর ৬০ বছরের মৃত বৃদ্ধা মাকে ট্রাইসাইকেলে করে শ্মশানে নিয়ে যান। এর ঠিক কয়েক মিনিট আগেই একই জায়গা থেকে ৬৭ বছরের বৃদ্ধর দেহ অটোতে করে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। উভয় রোগী লুধিয়ানার সরকারি হাসপাতালে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। উভয় পরিবারের অভিযোগ, বেসরকারি যান তাদের কাছ থেকে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা দাবি করে মৃতদেহ বহন করে নিয়ে যাওয়ার জন্য। অথচ হাসপাতাল থেকে শ্মশানের দুরত্ব কিছু কিলোমিটার। পরিবারের পক্ষ থেকে ওই অর্থ দেওয়ার মতো সামর্থ ছিল না তাই উপায় না পেয়ে এভাবেই দেহ শ্মশানে নিয়ে গিয়েছে তারা। যদিও হাসপাতালের পক্ষ থেকে উভয় পরিবারকে অপেক্ষান করতে বলা হয়েছিল অ্যাম্বুলেন্স না আসা পর্যন্ত।