দিল্লিতে সিএএ নিয়ে সংঘর্ষের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের বাড়ি ঘেরাও জামিয়া প্রাক্তনীদের
দিল্লিতে ক্রমশই খারাপের দিকে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। সিএএ সমর্থক ও সিএএ বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ পরিণত হয়েছে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসায়। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রের কাছে চেয়েছেন অতিরিক্ত বাহিনীও। তবে এরই মাঝে ঘেরাও করা হয় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়ি।
কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ জামিয়ার প্রাক্তন ছাত্রদের
জানা গিয়েছে দিল্লির হিংসা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে পৌঁছান জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠনের সদস্যরা। পরে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।
হিংসার জেরে দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত মৃত ১৮
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে ঘিরে শুরু হওয়া উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসা ক্রমেই হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে দিল্লি পুলিশের। এই পরিস্থিতিতে হিংসার জেরে দিল্লিতে মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে ধীরে ধীরে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত দিল্লির হিংসায় এক হেড কনস্টেবল এবং ১২ জন সাধারণ নাগরিক মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ছিল ১৩। বুধবার সকালে তা দাঁড়িয়েছে ১৮-তে। এদের বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিল। এখনও ৭০ জনের শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করার আর্জি পেশ কেজরিওয়ালের
এহেন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের কাছে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করার আর্জি পেশ করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ইতিমধ্যেই গোষ্ঠী সংঘর্ষের মধ্যে দিল্লির সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য স্পেশাল সেল, ক্রাইম ব্রাঞ্চ এবং অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার (ইডাব্লু) তরফ থেকে প্রায় ৩৫ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এতেও গতরাতে হিংসা ঠেকানো যায়নি। বুধবার সকালেই আরও ৫ জনের মৃত্যুর খবর আসে। এই অবস্থায় আরও বাহিনীর দাবি জানালেন কেজরিওয়াল।
অমিত শাহর সঙ্গে কয়েক দফায় বৈঠক কেজরিওয়ালের
দিল্লিতে হিংসার ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে মঙ্গলবার কয়েক দফায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও পুলিশ কমিশনারকে নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন। দিল্লি সরকারকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বহিরাগতরা এসে হিংসা ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ কেজরিওয়ালের। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাফরাবাদ, মৌজপুর, চাঁদবা, খুরেজি খাস, ভজনপুরায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ২৪ মার্চ পর্যন্ত জারি থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা।