নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনে হিংসা, উত্তর প্রদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনে হিংসা উত্তর প্রদেশে। সিক্রবার নতুন করে ১৪ টি জায়গায় হিংসা ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের জেরে ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছেন। অন্যদিকে এই একই কারণে সারা দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭।

উত্তর প্রদেশে মৃত্যু ৯ জনের, সারা দেশে ১৭
মিরাটে তিন, বিজনৌর-এ দুই, বারানসি, ফিরোজাবাদ, সম্ভবল এবং কানপুরে একজন করে বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে শুক্রবার। বৃহস্পতিবার তিন জনের মৃত্যু হয়েছিল। যার মধ্যে একজন লখনৌ-এ এবং কর্নাটকের ম্যাঙ্গালোরে দুজনের মৃত্যু হয়েছিল। অন্যদিকে অসমে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের।
|
বারানসিতে ৮ বছরের বালকের মৃত্যু
শুক্রবার বারানসিতে ৮ বছরের এক বালকের মৃত্যু হয়। পুলিশের লাঠি চালনার জেরে সেখানে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। উত্তর প্রদেশ পুলিশের ডিজিপি ওপি সিং জানিয়েছেন, কমপক্ষে ৫০ জন পুলিশকর্মী শুক্রবার আহত হয়েছেন। মসজিদ থেকে বেরনো জনগণ পুলিশের ওপর ব্যাপকভাবে পাথর বৃষ্টি করে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

পুলিশের প্রতিরোাধমূলক ব্যবস্থা
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে পুলিশ প্রায় ৩৩০০ জনকে ঘরেই আটক করে। পাশাপাশি ২০০ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় ১৪৪ ধারাও জারি করা হয় কমপক্ষে ১৬ টি জেলায়। আর ইন্টারনেট সংযোগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় ৪৫ টি জেলায়। লখনৌ-এ এক বর্ষীয়ান পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে একই সময়ে একসঙ্গে এত মানুষ বেরিয়ে আসা তিনি কখনও দেখেননি। তিনি আরও জানিয়েছেন, কানপুরে প্রতিবাদ মিছিল ছিল প্রায় ৪ কিমি দীর্ঘ। প্রত্যেক জায়গাতেই বিক্ষোভের প্রকৃতি ছিল একইরকমের। পুলিশের দিকে পাথর ছোড়ার পাশাপাশি সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসও ছিল তার মধ্যে।

বিক্ষোভ থেকে পুলিশের ওপর গুলি চালনার অভিযোগ
পুলিশের ডিজিপি ওপি সিং জানিয়েছেন, বিক্ষোভ থেকেও পুলিশের ওপর গুলি চালনা হয়েছে। সেই জন্যও অনেক মানুষের গুলি লেগে থাকতে পারে। এই ঘটনাটির তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছন তিনি।
কানপুর এবং লখনৌ উভয় জায়গাতেই শুক্রবারের প্রার্থনার পর বিক্ষোভ মিছিল বের হয়েছিল। কানপুরের চিফ মেডিক্যাল অফিসার জানিয়েছেন, শুক্রবারের ঘটনায় ১৩ জন আহত হয়েছেন। যার মধ্যে নয়জনের গুলির আঘাত লেগেছে।