অসমের চর চাপোরি এলাকার মানুষদেরও এবার জাতীয় নাগরিক পঞ্জীতে ঠাঁই দেওয়ার প্রস্তাব
অসমের চর চাপোরি এলাকার মানুষদেরও এবার জাতীয় নাগরিক পঞ্জীতে ঠাঁই দেওয়ার প্রস্তাব
এবার অসমের চর চাপোরি এলাকার মানুষদের জন্যও এবার চালু হতে চলেছে এনআরসি। মঙ্গলবার ইক্যুইটি স্টাডিজ কেন্দ্র কর্তৃক প্রকাশিত ইন্ডিয়া এক্সক্লুশন রিপোর্টে বলা হয়েছে সরকারের উচিত অসমের চরদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্টটা কমিয়ে নাগরিকত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে তাদের জন্য জাতীয় নাগরিক পঞ্জীর তালিকা ভুক্তির প্রক্রিয়া আরও সরলীকরণ করা।
অস্তিত্ব সংকটের শিকার চর চাপোরি এলাকার বাসিন্দারা
ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পরিবেশগত সঙ্কটের পাশাপাশি চরের মানুষেরা বর্তমানে পরিচয় ভিত্তিক সঙ্কটের শিকার হয়েছেন। দুর্বল জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব সংকটের উপর এখানে রাষ্ট্রের ভূমিকার উপরও বিশেষ জোর দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
‘ডি’ ভোটার প্রসঙ্গ
বিদেশী ট্রাইব্যুনালে মামলা চলাকালীন ‘ডি' বা ‘সন্দেহজনক' তালিকাভুক্ত ভোটারদেরও এনআরসির আওতায় আনা উচিত বলে মনে করছে ইন্ডিয়া এক্সক্লুশন রিপোর্ট। যদিও এই মামলার স্বতন্ত্রতা বজায় রাখার জন্য বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বিদেশি ট্রাইব্যুনালের সদস্য হিসাবে নিয়োগ করে এটিকে সরকারের নিয়ন্ত্রণ থেকে স্বাধীন করার প্রয়োজন রয়েছে বলেও মত বিশেষজ্ঞ মহলের।
বর্তমানে রাজ্য সরকারের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যার জন্য নির্বাচন কমিশন ‘ডি' ভোটারদের নির্বিচারে চিহ্নিতকরণ বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
অসমের মোট জনসংখ্যার ৯ শতাংশ চর এলাকার বাসিন্দা
চর বা রিভারাইন দ্বীপপুঞ্জ এবং চর সংলগ্ন অঞ্চল গুলিতে অসমের মোট জনসংখ্যার ৯ শতাংশেরও বেশি মানুষের বাস। ২০০২-২০০৩ সালে একটি আর্থ-সামাজিক জরিপে দেখা যাচ্ছে চর এলাকার আনুমানিক ১৮ লক্ষ মানুষ বাঙালি বংশোদ্ভূত মুসলমান।
পুনর্বাসনে ব্যর্থ বিজেপি সরকার
এদিকে দীর্ঘদিন একাধিক মানবাধিকার লঙ্ঘন, হত্যা, ঘর বাড়ি ধ্বংস করে দেওয়া এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছে রাজ্যের চর অঞ্চল গুলির মানুষেরা। ওই রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, ২০১৬ সালে অসমে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ভয়াবহ বন্যা এবং ভূমিক্ষয় জাতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাস্তুহারা মানুষদের পুনর্বাসনে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। তারপরই স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিশুদ্ধ পানীয় জল ব্যবহার এবং দৈনন্দিন জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে তীব্র সমস্যার মুখে পড়েছে বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা।