কোণঠাসা হতেই কি স্টান্স বদল? কংগ্রেসে অ-গান্ধী সভাপতি চেয়ে সরব প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও
সচিন পাইলট সকল মনোমালিন্য দূরে সরিয়ে রেখে দলে ফিরে এসেছেন। তবে সেই ঘর ওয়াপসি হয়েছে অনেক শর্ত মেনে। আর এই আবহেই কংগ্রেসের অন্দরের আরও বড় বিভেদ সবার সামনে চলে আসতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে রাজস্থানের এই সংকটমোচনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। তারপরই গুঞ্জন শুরু হয় যে, তবে কি এবার ফেরার জন্যে প্রস্তুত রাহুল?
কংগ্রেস সভাপতি পদ নিয়ে ধন্দ জারি
রাহুলের ফিরে আসা নিয়ে যেরকম ধন্দ রয়েছে, সেরমই একটি ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে যে কংগ্রেসের গদিতে বসতে পারেন প্রিয়াঙ্কা। তবে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন প্রিয়াঙ্কা নিজেই। অবশ্য সেটি শুধু মাত্র মিডিয়াকে জবাব দিতেই কি, তা বোঝা মুশকিল। কারণ বর্তমানে কংগ্রেসে গান্ধীদের একছত্র আধিপত্ব বিরাজ করে। এবং এটি পরিবারতন্ত্রের সামিল বলে অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
প্রিয়াঙ্কার গলাতেও রাহুলের সুর
এমনকি গান্ধীদের এই ভাবে কংগ্রেসের ক্ষমতার রাশ ধরে থাকা মেনে নিতে পারছেন না দলেরই বহু নেতা। জল্পনা, উস্কানি, কানাঘুষোর মধ্যেই কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ ফাটল আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার সম্ভাবনা দেখ দিয়েছে। এই আবহে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রাহুলের সুরে সুর মিলিয়ে জানিয়ে দিলেন, তিনি চান না যে কংগ্রেসের মাথায় কোনও গান্ধী বসুক। প্রসঙ্গত, রাহুল যখন গতবছর পদ ছেড়েছিলেন, তখন তিনি এই কথাটাই বলেছিলেন। তবে সেই সময় রাহুলকে সভাপদি পদে ফেরাতে উঠে পড়ে লেগেছইলেন প্রিয়াঙ্কা নিজেও।
কংগ্রেসের পরিস্থিতি খুবই খারাপ
বর্তমানে জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের পরিস্থিতি খুবই সঙ্গীন। একবছর আগে কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। এরপরও কংগ্রেস তাঁকে পদে ফেরার জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করে গিয়েছে। তবে তিনি রাজি হননি। এই অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসাবে দলের রাশ ধরেন সনিয়া গান্ধী। তবে একবছর হয়ে গেলেও কংগ্রেসের সভাপদি পদের জন্য আজও গান্ধী ছাড়া অন্য কারোর নাম ভাবা হচ্ছে না।
ফিরতে রাজি নন রাহুল গান্ধী
লোকসভা ভোটে কংগ্রেস গো হারা হারার পর সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন রাহুল গান্ধী। কোনওভাবেই তিনি ফিরতে রাজি হচ্ছিলেন না। অশোক গেহলট থেকে কমলনাথ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা তাঁর কাছে এই নিয়ে আবেদন নিবেদন করেছেন। কিন্তু কিছুতেই দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব নিতে চান না তিনি এমনই জানিয়েছেন।
বিকল্প কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না
কংগ্রেসের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো বিকল্প কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গান্ধী পরিবার ছাড়া কাউকে সভাপতি-র পদে বসাতে নারাজ সিংহভাগ কংগ্রেস নেতা। কিন্তু রাহুল রাজি না হওয়ায় সেই সনিয়া গান্ধীর উপরেই ভরসা রাখতে হয়েছে দলকে। তাই সনিয়া গান্ধীর সভানেত্রী পদে দায়িত্বের মেয়াদ বৃদ্ধির কথা ভাবে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি।
এরই মধ্যে উঠে এসেছে বিস্ফোরক অভিযোগ
এরই মধ্যে ফের বিস্ফোরক দাবি করলেন বহিস্কৃত কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় ঝায়ের। সোমবার সকালে কংগ্রেসের অভ্যন্তরের তথ্য ফাঁস করে সঞ্জয় ঝা টুইট করে জানান, বিধায়ক ও সাংদস মিলিয়ে প্রায় ১০০ জন কংগ্রেস নেতা সনিয়াকে নতুন করে কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্যে আবেদন জানান। আর মনে করা হচ্ছে সঞ্জয়ের এই দাবি কিছুটা হলেও সত্যি হতেই হবে, নয়ত কংগ্রেসের উপর থেকে গান্ধীদের 'হাত' এভাবে উঠবে না। দলের অন্দরে চোরা শ্রোত রুখতেই কি তবে গান্ধীদের এহেন অবস্থান! তা তো কেবল সময়ই বলতে পারবে।
শুরু হয়ে গেল ভাদ্রের বর্ষা, উপকূলবর্তী জেলায় জারি হল সতর্কতা, মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ