রবিবার দুপুরেই সংঘর্ষের স্ফুলিঙ্গ, সন্ধ্যায় বিরাট আকার নেয় জেএনইউয়ের হামলা
রবিবার দুপুরেই সংঘর্ষের স্ফুলিঙ্গ, সন্ধ্যায় বিরাট আকার নেয় জেএনইউয়ের হামলা
জওহরলাল
নেহেরু
বিশ্ববিদ্যালয়ের
৩০
জনেরও
বেশি
পড়ুয়া
ও
২৪
জনের
বেশি
শিক্ষক–শিক্ষিকা
রবিবার
বহিরাগতদের
হামলায়
আহত
হয়েছেন।
এদিন
সন্ধ্যায়
বেশ
কিছু
মুখ
ঢাকা
দুষ্কৃতীরা
লাঠি
ও
রড
নিয়ে
বিশ্ববিদ্যালয়
চত্ত্বরে
ঢুকে
পড়ে
এবং
হামলা
চালায়।
গোটা
ঘটনাটির
ভিডিও
করা
হয়েছে,
যেখানে
দেখা
গিয়েছে
যে
হামলাকারীরা
মেয়েদের
হস্টেলে
ঢুকে
তাঁদের
মারছে
এবং
বিশ্ববিদ্যালয়ের
সম্পত্তি
নষ্ট
করছে।
হামলা নিয়ে জেএনইউ উপাচার্যের বক্তব্য
যদিও এই হামলার আগে বাম ও ডানপন্থী পড়ুয়াদের মধ্যে আগে থেকেই এক সংঘর্ষের সূচনা হয়েছিল। জেএনইউয়ের উপাচার্য এম জগদীশ কুমার এই ঘটনার আসল তথ্য তুলে ধরেন। তাঁর কথা অনুযায়ী, হস্টেল ফি বেড়ে যাওয়ার জন্য কিছু পড়ুয়া জেএনইউ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন এবং তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগের সার্ভারটিকে খারাপ করে দেবে যাতে শীতকালীন সেমিস্টারের রেজিস্টার বন্ধ হয়ে যায়। উপাচার্য আরও জানান যে শীতকালীন সেমিস্টারের রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টার জন্য প্রতিবাদরত পড়ুয়াদের সঙ্গে বিশাল সংখ্যক অন্য পড়ুয়াদের সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
দিল্লি পুলিশ দেরি করে পৌঁছায়
দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে বাম এবং ডানপন্থী পড়ুয়াদের মধ্যে সংঘর্ষের সূচনা হয়। কিন্তু বিকেল পাঁচটায় তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সন্ধ্যায় বিশাল সংখ্যক বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে প্রবেশ করতে শুরু করে এবং পড়ুয়া ও ফ্যাকাল্টি সদস্যদের ওপর হামলা করে। যদিও কোনও কোনো সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে রবিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদই এই ঘটনা চরম আকার ধারণ করে এবং সাহায্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম ফোন আসে সন্ধ্যা সাড়ে ছ'টা নাগাদ। জেএনইউয়ের পক্ষ থেকে লিখিত অনুমতি পাওয়ার পরই পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ প্রবেশ করে। সাড়ে সাতটা নাগাদ পুলিশের বাহিনী আসে, এরপর আরও বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজনে আটটা নাগাদ আরও পুলিশ আসে।
জেএনইউএসইউ–এর অভিযোগ
জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন (জেএনইউএসইউ)-এর পক্ষ থেকে বিজেপি সমর্থিত অখিল ভারতী বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) ওপর এই হামলার দায় চাপানো হয়েছে। মুখ ঢেকে পুরুষ ও মহিলা হামলাকারীরা সবরমতী হস্টেল ও কোয়না হস্টেলে হামলা চালায়। এই হামলায় গুরুতর আঘাত হন ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়ে জওহরলাল নেহেরু শিক্ষক সংগঠনের (জেএনইউটিএ) পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে হামলাকারীরা ফ্যাকাল্টি সদস্যদের বাড়িতে ইঁট ছোঁড়ে, তাদের গাড়ি ভাঙচুর করে এবং তাঁদের বাড়িতে ঢুকে মারধর করে।
JNU-তে মুখঢাকা হামলাকারীরা 'কোড' শব্দ ব্যবহার করে কোন ইঙ্গিত দিয়েছিল! চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে