২০২৪-এ কংগ্রেস চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে বিজেপিকে! কোন পথে গেরুয়া শিবিরকে টক্কর, বললেন প্রশান্ত কিশোর
২০২৪-এ কংগ্রেস চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে বিজেপিকে! কোন পথে গেরুয়া শিবিরকে টক্কর, বললেন প্রশান্ত কিশোর
গত বছর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) পরে তাঁর সঙ্গে কংগ্রেসের (Congress) কথা অনেকটাই এগিয়েছিল। সনিয়া ছাড়াও রাহুল ও প্রিয়ঙ্কার সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। তবে পরবর্তী সময়ে সব কিছু ভেস্তে যায়। প্রশান্ত কিশোরের আর কংগ্রেসে যোগ দেওয়া হয়নি। এরপর পাঁচ রাজ্যে হার। এর পরে দাঁড়িয়েও প্রশান্ত কিশোর মনে করেন, যদি কংগ্রেস এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে, তাহলে ২০২৪-এর বিজেপিকে (BJP) খুব ভালভাবেই চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে।
সিডব্লুসির বৈঠকের পরে ৫ রাজ্য সভাপতিকে ইস্তফার নির্দেশ
উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, গোয়া, মনিপুরে হেরে যাওয়ার পরে ১৪ মার্চ কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক বসে। সেখানে সনিয়া গান্ধী ছাড়াও হাজির ছিলেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। ছিলেন গুলাম নবি আজাদও। সেই সময় ওয়ার্কিং কমিটির তরফে সনিয়া গান্ধীকে ক্ষমতা দেওয়া হয় যাতে তিনি দলের দুর্বলতা মোকাবিলা করে রাজ্য ও জাতীয় পর্যায়ে সংগঠনে বড় পরিবর্তন আনতে পারেন। এর পরেই সনিয়া গান্ধী হেরে যাওয়া পাঁচ রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতিদের ইস্তফার নির্দেশ দেন।
৭ রাজ্যে তীব্র লড়াই
ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, সারা দেশে বিজেপির আধিপত্য রয়েছে, এটা যেমন ঠিক, আবার অন্তত সাতটি রাজ্যে বিজেপি প্রবল চ্যালেঞ্জের মুখে। সেই কারণেই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন কংগ্রেসের সামনে সুযোগ নিয়ে আসতে পারে। ভোট কুশলী আরও বলেছেন, পূর্ব ও দক্ষিণ ভারতের সাত রাজ্য যথা বাংলা, বিহার, ওড়িশা, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং কেরলের ২০০ টি আসনের মধ্যে ৫০ টি বেশি আসন পেতে বিজেপিকে তীব্র লড়াই করতে হচ্ছে।
কংগ্রেসের পুনর্জন্ম নিতে হবে
কিন্তু কীভাবে সম্ভব? প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, আমাদের সবাইকে ড্রয়িং বোর্ডে ফিরে গিয়ে কংগ্রেসের পুনর্জন্ম দিতে হবে। ওদের আত্মা, দর্শন, মতাদর্শ ঠিক রেখে বাকি সব নতুন করে করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
কংগ্রেসকে মন ঠিক করতে হবে
বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক শক্তিরয়েছে। তাদেরকে কীভাবে একজায়গায় আনা সম্ভব। কে করবেন সেই কাজ। সেই নাম করতে চাননি প্রশান্ত কিশোর। তবে তিনি বলেছেন, কংগ্রেস যদি মন ঠিক করে, তাহলে সব কিছু তৈরি হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, যদি ন্যারেটিভ ঠিক থাকে, যদি আদর্শগতভাবে লোকজন একদিকে থাকে আর বিজেপিকে হারানোর মনোবল থাকে, তাহলে সেখান থেকেই মুখও বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
১০ থেকে ১৫ বছরের লক্ষ্য নিয়ে এগোতে হবে
প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, গান্ধী পরিবার সরে গেলেও কংগ্রেস পুনরুজ্জীবিত হতে পারবে না। তাদেরকে ড্রয়িং বোর্ডে ফিরে গিয়ে মৌলিক বিষয়গুলিকে ঠিক করতে হবে। তিনি বলেছেন, গত প্রায় ২০ বছর ধরে কংগ্রেস সারা ভারতে তাদের সদস্য সংগ্রহ অভিযান করেনি। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, দলে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ রয়েছে, কিন্তু গণতন্ত্রের চিহ্ন সেখানে নেই। তিনি বলেছেন, কংগ্রেস যদি বিজেপির বিকল্প হয়ে উঠতে চায়, তাহলে তাদেরকে ১০ থেকে ১৫ বছরের লক্ষ্য নিয়ে এগোতে হবে, খুব তাড়াতাড়ি কিছু করা যাবে না।
কয়লা-কাণ্ডে সস্ত্রীক অভিষেককে তলব ইডির! রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলল তৃণমূল