মোদীর প্রশংসায় পাওয়ার! প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে বার্তা মহারাষ্ট্র স্ট্রংম্যানের
শিবসেনা (shiv sena) ২০১৯-এ মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) পরে বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার পরে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বিজেপির(BJP) সঙ্গে জোটের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এমনটাই দাবি করেছেন মহারাষ
শিবসেনা (shiv sena) ২০১৯-এ মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) পরে বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার পরে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বিজেপির(BJP) সঙ্গে জোটের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এমনটাই দাবি করেছেন মহারাষ্ট্র স্ট্রংম্যান শারদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। কিন্তু এই ধরনের জোট পছন্দ করেন না, তাই প্রধানমন্ত্রী মোদীকে (Narendra Modi) সরাসরি সে কথা জানিয়েও দিয়েছিলেন। যদিও তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাজের প্রশংসা করেছেন।
দুপক্ষের আলোচনার কথা স্বীকার
নিজের ৮১ তম জন্মদিন উপলক্ষে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে শারদ পাওয়ার বলেছেন, এটা ঠিক যে দুই দলের মধ্যে জোট নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বিষয়টি চিন্তা করতে বলেছিলেন। পাওয়ারের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর অফিসেই তিনি বলেছিলেন, এটা সম্ভব নয়। এব্যাপারে কাউকে অন্ধকারে রাখাও তিনি পছন্দর করেন না বলেও জানিয়েছেন। পাওয়ারের ওপর প্রকাশিত বইয়ে তাঁর গত ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেছেন, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষজন।
স্মরণে ভোট পরবর্তী নানা কথা
২০১৯-এর
রাজ্য
বিধানসভা
নির্বাচনের
পরের
ঘটনার
কথা
উল্লেখ
করে
শারদ
পাওয়ার
বলেছেন,
এনসিপি
বিজেপির
সঙ্গে
জোট
করতে
পারে
বলে
বক্তব্য
তুলে
ধরা
হয়েছিল।
যার
জেরে
শিবসেনার
মধ্যেও
প্রশ্ন
চিহ্ন
তৈরি
হয়েছিল।
কেননা
তার
আগেই
শিবসেনা
কংগ্রেস
ও
এনসিপির
সঙ্গে
জোট
করতে
অনেকটাই
এগিয়ে
গিয়েছিল।
তিনি
কি
ভাইপো
অজিত
পাওয়ারকে
বিজেপি
নেতা
তথা
প্রাক্তন
মুখ্যমন্ত্রী
দেবেন্দ্র
ফড়নবিশের
কাছে
পাঠিয়েছিলেন,
এই
প্রশ্নের
উত্তরে
পাওয়ার
বলেছেন,
তিনি
যদি
অজিত
পাওয়ারকে
বিজেপির
কাছে
পাঠাতেন,
তাহলে
তিনি
কাজ
অসম্পূর্ণ
রাখতেন
না।
শারদ পাওয়ার বলেছেন, বিজেপি এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কের কথা ভেবেছিল, কেননা একটা সময় কংগ্রেসের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভাল ছিল না। সেই কারণেই বিজেপি তাদের সঙ্গে জোটের কথা ভাবতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
একক বৃহত্তম দল হয়েও সরকার গড়তে পারে নি বিজেপি
২০১৯-এর মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েছিল। কিন্তু শিবসেনার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রশ্নে বিরোধের কারণে দীর্ঘদিনের সঙ্গীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সেই সময় বিজেপির তরফে এনসিপির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। এমন কী ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রী এবং অজিত পাওয়ার উপ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও শপথ নিয়েছিলেন। যদিও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। শিবসেনা এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে।
আলোচনায় দেশের রাজনীতি
শারদ পাওয়ারের সঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছে দেশের রাজনীতির প্রসঙ্গও। তিনি দাবি করেছেন, উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে ৫০-৫০ সুযোগ রয়েছে বিজেপি ও বিরোধীদের। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সেখানের একের পর এক প্রকল্পের শিলান্যাস এবং উদ্বোধন করছেন, তাতে সেখানকার পরিস্থিতিকে বিজেপি গুরুত্ব দিয়েই এগোচ্ছে। তিনি দাবি করেছেন, উত্তর প্রদেশ কিংবা মধ্যপ্রদেশের ভোটের ফল সরাসরি জাতীয় রাজনীতির ওপরে প্রভাব ফেলে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রশংসা
তবে
শারদ
পাওয়ার
প্রধানমন্ত্রী
মোদীর
কাজের
প্রশংসাও
করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী
কঠোর
পরিশ্রম
করতে
পারেন
এবং
কাজে
সময়ও
দেন।
যুক্তি
দিয়ে
তিনি
কাজ
শেষ
করেন
বলেও
উল্লেখ
করেছেন
পাওয়ার।
প্রশাসনের
দিকও
তিনি
নজর
দেন
বলে
মন্তব্য
করেছেন
পাওয়ার।
সঙ্গে
তিনি
বলেছেন,
যদি
সাধারণ
মানুষের
সমস্যার
সমাধান
করা
না
হয়,
তাহলে
এইসবের
কোনও
প্রভাব
পড়বে
না।
পাওয়ার
বলেছেন,
যখন
তাঁরা
দুজন
মিলিত
হন,
তখন
ইডি
নিয়ে
কোনও
আলোচনায়
তাঁদের
মধ্যে
হয়
না।
১৯৯৯
সালের
আগে
এনসিপি
প্রতিষ্ঠা
করা
উচিত
ছিল
কিনা
এই
প্রশ্নের
উত্তরে
পাওয়ার
বলেছেন,
তার
পরিবার
বামপন্থী
রাজনীতির
প্রতি
অনুরক্ত
ছিল।
তিনি
গান্ধী,
নেহরুর
দ্বারা
অনুপ্রাণিত
হয়েছিলেন।
তাঁদের
আদর্শ
ত্যাগ
করেননি
তিনি।
পাশাপাশি
তিনি
বলেছেন,
জাতভিত্তিক
রাজনীতি
বেশিদিন
স্থায়ী
হয়
না।