সুপ্রিম কোর্টের রায়ে নৈতিক জয় বিক্ষুব্ধদের! কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি বিজেপির
একের পর এক বিধায়কের ইস্তফার জেরে কর্নাটকের জোট সরকারের ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়া একরকম নিশ্চিত ছিল। এর পাশাপাশি বুধবার সুপ্রিম কোর্টের রায় জোট সরকারের পতনের গতিকে ত্বরান্বিত করল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এদিনের রায়ে সুপ্রিম কোর্ট যেমন জানিয়েছে, বিধায়কদের ইস্তফা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন স্পিকার, অপর দিকে সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, বিদ্রোহীদের বিধানসভায় হাজির করতে কোনওভাবেই বাধ্য করা যাবে না।

'ইস্তফা দেওয়া বিধায়কদের বাধ্য করা যাবে না'
সুপ্রিম কোর্টের এদিনের নির্দেশের অর্থ, মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর জেডিএস এবং কংগ্রেস কেউই তাদের বিদ্রোহী বিধায়কদের আস্থা ভোটে ভোটদানে বাধ্য করতে পারবে না। আদালতের নির্দেশের বাইরে কোনও রকমের পদক্ষেপ নিতে পারবেন না স্পিকার। কর্নাটক বিধানসভার স্পিকার শুধুমাত্র বিধায়কদের ইস্তফা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন।

বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের বড় অংশ রয়েছেন মুম্বইয়ে
১৫ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, তারা বিধানসভায় যাবেন না। অন্যদিকে বিজেপির তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই বিধায়কদের বেশিরভাগই মুম্বইতেই থাকবেন। ৬ জুলাই থেকে মুম্বইয়ের পাঁচতারা হোটেলে রয়েছেন বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের একাংশ।

পতনের মুখে কর্নাটকের জোট সরকার
ইতিমধ্যেই কংগ্রেস ও জেডিএস-এর যোলো বিধায়ক এবং দুজন নির্দল বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন। ফলে সংকটে পড়ে গিয়েছে কর্নাটকের জোট সরকার। যদি এই ১৮ বিধায়ক
ভোট দিতে না যান, তাহলে সরকারের সমর্থনকারী বিধায়কের সংখ্যা ১১৮ থেকে কমে ১০০ হয়ে যাবে। অন্যদিকে বিজেপিকে সমর্থনকারী বিধায়কের সংখ্যা থাকবে ১০৭-এ।

ইয়েদুরাপ্পার দাবি
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী সমর্থন হারিয়েছেন। আগামীকাল তাঁর পদত্যাগ করা উচিৎ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের নৈতিক জয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। গতবছর সংখ্যাধিক্য না থাকায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই পদত্যাগ করেছিলেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা।