কৃষকদের সমর্থনে দেশজুড়ে পথে বামপন্থী সংগঠনগুলি, প্রতিবাদীদের জন্য তৈরি প্রশাসন
কৃষি আইনের বিরোধিতায় আজ দেশজুড়ে বনধ পালিত হচ্ছে কৃষক সংগঠনগুলির ডাকে। শান্তিপূর্ণভাবে বনধ পালন করা হবে বলে জানিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। এই কৃষি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে দিল্লি সহ উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্য। এছাড়া দিল্লি পুলিশের তরফে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। নজরদারি চালাতে ব্যবহার করা হতে পারে ড্রোন। হরিয়ানা পুলিশের তরফে টুইট করে কোন কোন রাস্তা বন্ধ থাকতে পারে এবং সেখান দিয়ে যাতায়তের বিষয়ে নির্দেশিকা এবং উপদেশ দেওয়া হয়েছে।
কর্নাটকে বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ
কর্নাটকে বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন সহ স্লোগান দিতে দেখা যায় বাম সংগঠনগুলিকে। কালাবুরাগিতে কেন্দ্রীয় বাস ডিপো অবরোধ করে বাম সংগঠনের সদস্যরা। যার জেরে সেই ডিপো থেকে কোনও বাস বের হতে পারেনি। এদিকে হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে। উল্লেখ্য, আজ ১৩ দিন ধরে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তারা। এর মাঝে কেন্দ্রের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠকে বসলেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি।
ভুবনেশ্বরে রেল অবরোধ
এদিকে ভারত বনধের সমর্থনে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ায় বিক্ষোভ দেখান বাম সমর্থকরা। এদিকে ভুবনেশ্বর রেলস্টেশনে ট্রেন অবরোধ করে বামফ্রন্ট ও কৃষক ইউনিয়নগুলি। এদিকে কৃষকদের তরফে জানানো হয়েছে, দেশজুড়ে তাঁরা যে বনধ ডেকেছেন, তার আসল উদ্দেশ্য় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো৷ তবে, এর জন্য় সাধারণ মানুষের কোনও ক্ষতি হোক তা তাঁরা চান না৷ অপরদিকে বনধে শান্তি বজায় রাখতে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মমতার সমালোচনায় বাম-কংগ্রেস নেতারা
সোমবারই মেদিনীপুরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করলেও তিনি কোনও মতেই মঙ্গলবারের বনধকে সমর্থন করবেন না। সেই মর্মে রাজ্য প্রসাশনকে নির্দের্শ দিয়েছেন যাতে মঙ্গলবারে সবকিছু সচল থাকে। কিন্তু, বনধ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন অবস্থানকে তাঁর দ্বিচারিতা বলে সমালোচনা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস এবং রাজ্য বামফ্রন্ট নেতৃত্ব।
সাধারণ মানুষকে যাতে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশ আছে, কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে রাজ্যে কেউ পথে নামলেও যাতে সাধারণ মানুষকে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়। একইসঙ্গে সঠিক সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছে যেতে বলা হয়েছে সরকারী কর্মীদের। সমস্ত সরকারি দফতর, পরিষেবা স্বাভাবিক থাকব বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য
এই বিষয়ে বাম ফ্রন্টের পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, কৃষক বিরোধী এই সরকার, কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া কৃষি আইনের বিরোধিতা করতে চাইলে, এই রাজ্যে সংশ্লিষ্ট কৃষি আইনকে বাতিল করত। বিধানসভার জরুরি অধিবেশন বসিয়ে এ কাজ মুখ্যমন্ত্রী করতে পারতেন। মুখ্যমন্ত্রীকে কৃষক বিরোধী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।