দুই বন্দিকে নগ্ন করে রাখল পুলিশ, ১৫ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ মানবাধিকারের
পুলিশ হেফাজতে থাকা দুই ব্যক্তিকে নগ্ন থাকতে বাধ্য করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে চণ্ডীগড়ে। পুলিশ জানিয়েছে যে তাদের আত্মহত্যা থেকে বিরত রাখতেই নগ্ন করে রাখা হয়েছিল। সোনিপতের এসপির বিরুদ্ধে হরিয়ানার মানবাধিকার কমিশন অভিযোগ এনেছে। বলা হয়েছে যে এটি কোনও ব্যক্তির সম্মান ও মর্যাদার বিরুদ্ধে।
কমিশন জানিয়েছে যে এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়। ১৫ হাজার টাকা জরিমানাও দিতে হয়েছে পুলিশকে। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'এ ধরনের কাজ যাতে কোনও পুলিশ না করে তার জন্য প্রয়োজনী নির্দেশ দেওয়া হল, সম্প্রতি যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে তার পুনরাবৃত্তি হলে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হবে এবং কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে দোষী পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে।’ জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে দু’জন ব্যক্তি মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়। তাদের নাম সুরেশ ও বলরাজ। তারা জানায় যে এএসআই ও এএইচও তাদের জেলের মধ্যে নগ্ন হয়ে থাকতে বাধ্য করে। পুলিশ তাদের অপদস্থ করে বলেও অভিযোগ করে তারা। মানবাধিকারের চেয়ারপার্সন বিচারক এস কে মিত্তল (অবসরপ্রাপ্ত) ও সদস্য দীপ ভাটিয়ার বেঞ্চ দুই অপরাধীর বক্তব্য শোনে এবং তদন্ত করে দেখে যে ঘটনাটি সত্যি।
২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি কমিশন পুলিশকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা হিসাবে ওই দুই ব্যক্তিকে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। যদিও হরিয়ানার অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (স্বরাষ্ট্র) ডিজিপিকে এই ঘটনার পূর্ণ রিপোর্ট জমা দিতে বলে। ডিজিপি সোনিপত এসপিকে রিপোর্ট জমা দিতে বলে, যাতে কমিশনের নির্দেশের বিপক্ষে পুর্নবিবেচনার আবেদন জমা দেওয়া যায়।
সোনিপত এসপি বলেন, 'অতীতেও যে সব অপরাধীকে পুলিশের জেলে রাখা হত তাদের পোশাক, বেল্ট, দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করত। ওই দুই অপরাধীকেও যদি পোশাক, বেল্ট পরতে দিতাম তবে তারাও আত্মহত্যার চেষ্টা করত।’