কমলেশ তিওয়ারির হত্যাকারীতে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করল উত্তর প্রদেশ পুলিস
কমলেশ তিওয়ারির হত্যাকারীতে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করল উত্তর প্রদেশ পুলিস
কমলেশ তিওয়ারির হত্যাকারীদের ধরতে আড়াই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করল যোগীর পুলিস। হত্যাকারীদের সম্পর্কে একটি তথ্য দিতে পারলেই পুরস্কার পাবেন তাঁরা। এখনও পর্যন্ত খুনি সন্দেহে শেখ আসফাক হোসেন এবং পাঠান মইনুদ্দিন আহমেদ নামে এই দুজনকে চিহ্নিত করছে পুলিস। সূত্রের খবর খুনিদের লখনউয়ের কাছে শাহাজানপুরে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে।
সিসিটিভি ফুেটজে দেখে খুনিরা চিহ্নিত
হিন্দু সমাজ পার্টির নেতা কমলেশ তিওয়ারির খুনিদের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করেছে পুলিস। শেখ আসফাক হোসেন এবং পাঠান মইনুদ্দিন আহমেদ নামে এই দুই হত্যাকারীকে এখন হন্যে হয়ে খুঁজছে উত্তর প্রদেশ পুলিস। এদের সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে পারলে আড়াই লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে পুলিসের তরফ থেকে।
তদন্তে এসটিএফ
কমলেশ তিওয়ারির হত্যাকারীদের ধরতে এসটিএফ গোটা রাজ্যে তল্লাশি শুরু করেছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন দুই হত্যাকারী লাখিমপুর জেলার পালিয়া থেকে ইনোভা গাড়ি ভাড়া করে শাহজাহানপুরে পৌঁছয়। রেলস্টেশনের পাশে হোটেল প্যারাডাইসে তাঁদের ঢুকতে দেখা গিয়েছিল। রেলস্টেশনের কাছে ইনোভা গাড়িটি রেখে তারা জনবহুল বাসস্ট্যান্ডের দিকে হেঁটে চলে গিয়েছিল বলে সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে। শহরের একাধিক হোটেল এবং মাদ্রাসায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। ইনোভা গাড়ির চালককে আটক করেছে পুলিস। তার থেকে পুলিসের অনুমান শাহজাহানপুরের কোথায় লুকিয়ে রয়েছে আততায়ীরা।
আততায়ীদের হাতে থাকা মিষ্টির বাক্স গুজরাটের
তদন্তে জানা গিয়েছে আততায়ীরা যে মিষ্টির বাক্সে করে অস্ত্র লুকিয়ে এনেছিল সেটি গুজরাটের সুরােটর। সেই সূত্র ধরেই গুজরাট এবং উত্তর প্রদেশ থেকে সন্দেহভাজন তিন জনকে আটক করা হয়েেছে। গুজরাট এটিএসের দাবি কমলেশ তিওয়ারির হত্যার চক্রান্তে জড়িত রয়েছে জৈমিন বাপু। সেই ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে কমলেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি করেছিল। তার কথামতোই ১৮ অক্টোবর দেখা করার কথা ঠিক হয়েছিল।
এদিকে কমলেশ তিওয়ারির মা যোগীর পুলিসের তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে আইন হােত তুলে েনওয়ার হুমকি গিয়েছেন।