প্রধানমন্ত্রী কৃষক মন্ধন যোজনায় উত্তরাখণ্ডের মাত্র ১৭০০ জন কৃষক নথিভুক্ত
প্রধানমন্ত্রী কৃষক মন্ধন যোজনায় উত্তরাখণ্ডের মাত্র ১৭০০ জন কৃষক নথিভুক্ত
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উচ্চাভিলাষী পেনশন প্রকল্প 'প্রধানমন্ত্রী কৃষক মন্ধন যোজনা’ এখন পিছিয়ে রয়েছে উত্তরাখণ্ডে। এখনও পর্যন্ত এই রাজ্যে ১৭০০ কৃষক এই প্রকল্পের অন্তর্গত নথিভুক্ত করেছেন। যদিও এই পার্বত্য রাজ্যে ৯ লক্ষ কৃষক রয়েছে।
খুব কম সংখ্যক কৃষকই এই প্রকল্প সম্পর্কে জানেন
রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী সুবোধ উনিয়াল বলেন, ‘এই প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা শিবির করা প্রয়োজন। কৃষকরা যখন অবসর নেবেন তখন এই প্রকল্পটি তাঁদের সহায়তা করবে।' কৃষকদের ৬০ বছর বয়সে পৌঁছানোর পর তাঁদের সহায়তার জন্য কেন্দ্র সরকার ২০১৯ সালের আগস্টে এই প্রকল্পের সূচনা করে। এই প্রকল্পে ১৮-৪০ বছর বয়সী কৃষকরা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবে। তারপর থেকে এই রাজ্যের ১৩টি জেলার মাত্র ১৬৮৮ জন কৃষক এই প্রকল্পের আওতায় আসেন।
১৩টি জেলার কৃষক নথিভুক্ত
১৩টি জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কৃষক এই প্রকল্পে নথিভুক্ত করেছে উধাম সিং নগর (২৮৭) থেকে, এরপরই রয়েছে পাউরি (২৩৫), হরিদ্বার (২৩১), দেরাদুন (২১৭), উত্তরকাশি (১২৭), নৈনিতাল (১১১), চম্পাবত (১০৫), চামোলি (৮৪), তেহরি ও আলমোর থেকে ৭০ জন করে, রুদ্রপ্রয়াগ (৬৩), পিথোরাগড় (৪৯) ও বাগেস্বর (৩৯) জন। এই প্রকল্পের অন্তর্গত কৃষকদের নথিভুক্তের হার কম হওয়ার পেছনের কারণ জানতে এক সমাজকর্মী গণেশ উপাধ্যায় উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন, সেই মামলায় হাইকোর্ট বলেছিল, ‘১৮-৪০ বছর বয়সী অধিকাংশ কৃশকদেরই নিজেদের নামে জমি নেই কিন্তু তাঁদের বাবার নামে রয়েছে। সুতরাং, রাজ্য থেকে বেশিরভাগ কৃষকই এই প্রকল্পের অযোগ্য এবং অন্যরা এই প্রকল্পের সুবিধা সম্পর্কে অসচেতন।'
প্রকল্পের সুবিধা
এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকরা প্রতিমাসে তিন হাজার টাকা করে পেনশন পাবে। ১১০-৪০০ টাকা মাসিক প্রিমিয়ামে কেন্দ্র কর্তৃক ৫০% ভর্তুকিও সরবরাহ করা হবে।
হাইকোর্টের নির্দেশ
২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল উত্তরাখণ্ডের কৃষক আত্মহত্যার গুরুতর দ্রষ্টব্য নিয়ে হাইকোর্ট আত্মহত্যা করেছে এমন কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পেনশন প্রদানের জন্য একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন সহ রাজ্য সরকারকে একাধিক নির্দেশনা জারি করেছিল।