আন্দোলনে ভিত নড়েছে কেন্দ্রের? কৃষি আইন নিয়ে বড় ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী মোদীর!
দেড় বছর পর্যন্ত কৃষি আইন স্থগিত করতে এখনও রাজি কেন্দ্র। জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ পাশাপাশি এদিন সব দলের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বার্তা দেন, কেন্দ্র কেবল মাত্র একটি ফোন-কল দূরে। তাছাড়া মোদীর আশ্বাসবাণী, কৃষি আইন ১৮ মাসের জন্য বলবৎ করা স্থগিত করতে রাজি কেন্দ্রীয় সরকার। কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্র বরাবর আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী।
১৮ মাস আইন স্থগিতের প্রস্তাব
এদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, সাধারণতন্ত্র দিবসের দিনে কৃষকদের ট্র্যাক্টর ব়্যালিতে হিংসার ঘটনায় পর এক সপ্তাহ ধরে চলা অচলাবস্থা কাটাতে আলোচনায় বসতে রাজি সরকার। আগে নয় দফার আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর সরকারের তরফে কৃষকদের কৃষি আইন বাস্তবায়নের উপর ১৮ মাস স্থগিতের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু কৃষকরা সেই প্রস্তাব মানতে রাজি হয়নি৷
যদিও এই প্রস্তাবে রাজি নয় কৃষকরা
মোট ১১ দফার আলোচনার পরও তৃতীয়বার এই প্রস্তাবে রাজি হননি কৃষকরা৷ এরপর কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, 'বল এখন কৃষকদের কোর্টে৷ আমরা কৃষকদের আইন প্রত্যাহার করা ছাড়া অন্য পথ প্রস্তাব করার কথা বলেছি৷ যদি তাঁদের কাছে আমাদের থেকে কিছু ভালো প্রস্তাব থেকে থাকে৷'
কৃষক সমস্যা মেটানোর বিষয়ে ইতিবাচক বার্তা
ইউনিয়ন বাজেটের জন্য সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একই প্রস্তাবের পুনরাবৃত্তি করেন৷ ২০টি বিরোধী দল কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে পার্লামেন্টে রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করেন৷ তার একদিন পর সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী কৃষক সমস্যা মেটানোর বিষয়ে ইতিবাচক বার্তা রাখেন৷
কৃষকদের সমস্ত ইস্যু খোলা মনে বিচার করা হবে
এদিকে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা প্রহ্লাদ যোশী টুইটারে বলেন, 'সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিশ্চিত করেন সরকার কৃষকদের সমস্ত ইস্যু খোলা মনে বিচার করবে৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২২ জানুয়ারি সরকার যা বলেছিল, এখনও সেই প্রস্তাবেই রাজি সরকার৷'
সিঙ্ঘুতে কৃষক-পুলিশ সংঘর্ষ
এদিকে দিল্লি হরিয়ানা সীমান্তে সিঙ্ঘুতে কৃষক-পুলিশ সংঘর্ষ হয়৷ শুক্রবার সেখানে কৃষকদের সঙ্গে একদল মানুষের সংঘর্ষ চলাকালীন তলোয়ার নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালাতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে৷ সেই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি সহ মোট ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ৷