ডিজিটাল ভারতের নয়া পদক্ষেপ, দেশজুড়ে ৭৫টি ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিটের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
রবিবার ভারত জুড়ে ৭৫টি ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিটের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর,
রবিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের দুটি ডিজিট্যাল ব্যাঙ্কিং ইউনিটের উদ্বোধন করেন। জানা গিয়েছে, সারা দেশে মোট ৭৫টি ব্যাঙ্কিং ইউনিটের উদ্বোধন করা হয়। তারমধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে দুটো ইউনিট রয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে দুটি ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিটের মধ্যে একটি শ্রীনগরের লালচকের এসএসআই শাখা ও অন্যটি জম্মুর চান্নি রামা শাখা। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশে ভাষনও দেবেন।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ উপলক্ষ্যে দেশে ৭৫টি ডিজিট্যাল ব্যাঙ্কিং ইউনিট গঠন করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। ঘোষণায় তিনি বলেছিলেন, দেশের প্রতিটি প্রান্তে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডিবিইউগুলি স্থাপন করা হচ্ছে। সরকারি ১১টি ব্যাঙ্ক, বেসরকারি ১২টি এবং একটি ক্ষুদ্র আর্থিক ব্যাঙ্ক এই প্রচেষ্টায় অংশ নিচ্ছে।
ডিবিইউগুলি মানুষকে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং সুবিধা প্রদান করবে যেমন সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলা, অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স চেক, পাসবুক প্রিন্ট করা, ফান্ড ট্রান্সফার, ফিক্সড ডিপোজিট ইনভেস্টমেন্ট, লোন অ্যাপ্লিকেশন, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের জন্য আবেদন এবং বিল ও ট্যাক্স পেমেন্ট। এমনকী ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিট থেকে ঋণের জন্য আবেদন করা সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে ডিবিইউয়ের গ্রাহকদের সারা বছর ব্যাঙ্কিং পণ্য ও পরিষেবার সাশ্রয়ী, সুবিধাজনক অ্যাক্সেস এবং উন্নত ডিজিটাল পরিষেবা পেতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ ডিজিটালের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সাবলীল হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে মানুষ আগের থেকে বেশি সচেতন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ডিবিইউয়ের গ্রাহকরা ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে এই পরিষেবা পাবেন। কোনও ক্ষেত্রে সমস্যা হলে তৎক্ষণাৎ অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব প্রযুক্তির মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। ডিজিটাল ভারতের একটা নতুন অধ্যায় শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, ডিজিটাল ইউনিটগুলো গ্রাহকদের আকর্ষণ করবে। যার জেরে সাধারণ মানুষ আরও একধাপ প্রযুক্তির দিকে এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ডিজিটাল ভারতের ঘোষণা করেছিলেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ডিজিটাল ভারতের দিকে দেশ আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
চলতি বছরের এপ্রিলে আরবিআই ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিট সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রকাশ করেন। তারপরেই ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিট খোলার কাজ জোর কদমে শুরু হয়ে যায়।