কাঠুয়া গণধর্ষণকাণ্ড: দোষী ৩ জনের যাবজ্জীবন, বাকী ৩ জনের ৫ বছরের জেল
এক বছরের অপেক্ষা, জমে থাকা ক্ষোভ-রাগ কিছুটা হলেও স্তিমিত হল। কাঠুয়া কাঠুয়া গণধর্ষণ মামলায় ৬ দোষীর মধ্যে ৩ জনকে (সঞ্জী রাম, প্রবেশ কুমার এবং দীপক খাজুরিয়াকে) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল পাঠানকো
এক বছরের অপেক্ষা, জমে থাকা ক্ষোভ-রাগ কিছুটা হলেও স্তিমিত হল। কাঠুয়া কাঠুয়া গণধর্ষণ মামলায় ৬ দোষীর মধ্যে ৩ জনকে (সঞ্জী রাম, প্রবেশ কুমার এবং দীপক খাজুরিয়াকে) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল পাঠানকোট জেলা দায়রা আদালত।
দোষী ৩ পুলিস কর্মীকে (এসআই আনন্দ দত্ত, হেড কনস্টেবল তিলক রাজ এবংএসপিও সুরেন্দ্র বর্মা) তথ্য প্রমাণ লোপাট এবং নষ্ট করার দায়ে ৫ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে আদালত। সাত অভিযুক্তের মধ্যে ৬ জনকে সকালে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। বেকসুর খালাস করা হয় সঞ্জী রামের ছেলে বিশালকে। বিচারকের এই রায়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন নির্যাতিতার মা-বাবা। তবু কোথায় যেন একটা কাঁটা বিঁধে আছে। ফাঁসি হলে আরও বেশি শান্তি হত। তাতে কী হল সাজা পর্যন্তই থমকে থাকত , তা কার্যকর কী হতো? যেমনটা থমকে গিয়েছে নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের ফাঁসি।
এক বছর দেরিতে হলেও আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকা কালীনই ঘটেছিল এই নারকীয় ধর্ষণ কাণ্ড। মেষপালক মুসলিম আদিবাসী পরিবারের ৮ বছরের বালিকাকে অপহরণ করে কাঠুয়ায় মন্দিরের পিছনের ঘরে আটকে রেখে তিন দিন ধরে চলেছিল ধর্ষণ। যাতে কেউ টের না পায় সেকারণে মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করে রাখা হয়েছিল বালিকাকে। তিন দিন পরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে। দেহ লোপাট করতে গিয়েই গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়ে যায় পুরো ঘটনা। তারপর এই নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। এমনকী মুফতি সরকারের পতনের অন্যতম কারণও ছিল এই কাঠুয়া গণধর্ষণ ঘটনা।