দিল্লি হিংসায় উস্কানি দিতে টাকা আসছে কোথা থেকে! কোন 'স্লিপার সেল' জেগে উঠছে, জানাল রিপোর্ট
দিল্লি হিংসায় ইন্ধন দিতে টাকা আসছে কোথা থেকে! কোন 'স্লিপার সেল' জেগে উঠছে, জানাল রিপোর্ট
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালের বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের পর সেভাবে কোনও জবাব দিতে পারেনি ইসলামাবাদ। এরপরবর্তী পর্যায়ে আসে ৫ অগাস্ট। যেদিন ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে দিল্লির বুক থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়ে দেন যে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া হচ্ছে। তারপর ক্ষোভে ফুঁসলেও, পাকিস্তান বিশ্ব আঙিনায় কোনও সমর্থককে খুঁজে পায়নি যাঁরা ভারতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপে আগ্রহী। এরপর ২০১৯ সালের শেষ থেকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ভারতে লাগু হতেই জ্বলে উঠতে থাকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত। সিএএ-র প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ হয়েছে রাজধানী দিল্লির শাহিনবাগ থেকে জাফরাবাদ। এমন পরিস্থিতিতে এক বেসরকারি চ্যানেলের দাবি যে, গোয়েন্দা সূত্রের খবর, দিল্লির এই অশান্ত পরিস্থিতির নেপথ্যে রয়েছে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। আর কিভাবে তারা গোটা বিষয়টিকে সংগঠিত করছে , তা দেখে নেওয়া যাক।
আইএসআই-র স্লিপার সেল রয়েছে দিল্লি হিংসার নেপথ্যে!
সাম্প্রতিক এক রিপোর্টের দাবি, দিল্লিতে উত্তরপূর্ব দিকের জেলায় যে হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে মদত রয়েছে পাকিস্তানের গুপ্তচরসংস্থা আইএসআই-র স্লিপার সেলের। ভারতে পাকিস্তানি গুপ্তচররা যে দিল্লির উত্তাল পরিস্থিতিকে উস্কানি দিচ্ছে , তার প্রমাণ গোয়েন্দাদের হাতে এসে গিয়েছে।
পাকিস্তান যেভাবে টাকার পাচার করছে হিংসায় উস্কানি দিতে..
গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, পাকিস্তান অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের জাল নোট বানাতে শুরু করেছে। আর সেই জাল নোটের আঁতুর ঘর দুবাই। ভারতের নোটের যে ৯ টি বৈশিষ্ট রয়েছে তার মধ্যে ৭ টিই ধরে ফেলেছে পাকিস্তান। আর সেই সূত্র ধরেই পাকিস্তান এবার ক্রমাগত জাল নোট বানিয়ে যাচ্ছে, যা ভারতে এসে পৌঁছে যাচ্ছে এক প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত দিয়ে।
কোন পথে ভারতে ঢুকছে পাকিস্তানি টাকা?
জানা গিয়েছে, দুবাই থেকে নেপাল হয়ে ভারত সীমান্ত দিয়ে ঢুকে যাচ্ছে পাকিস্তানি জাল নোট। গোয়েন্দাদের দাবি , পাকিস্তানের করাচিতে এই ভারতীয় জাল নোটের বিশাল রমরমা। আর সেখান থেকেই নোট ছাপিয়ে দুবাই ও নেপালের পথে ভারতে ঢুকেছে টাকা। অপরাধের ঠিক এমন প্যাটার্ন নব্বইয়ের দশকের ভারত দেখেছে।
টাকা পাচারের পর আইএসআই কোন ছকে এগিয়ে যাচ্ছে?
জানা গিয়েছে, পাকিস্তান থেকে জাল নোট আসতেই সেই টাকার গোছা নিয়ে ভারতে অবস্থিত পাকিস্তানি গুপ্তচরদের স্লিপার সেল কাজ শুরু করে দিচ্ছে। কয়েকজনকে সরকার বিরোধী সিএএ বিক্ষোভে নজরদারির জন্যও রাখা হচ্ছে বলে খবর। যেখানেই সরকার বিরোধী বিক্ষোভ চলছে সেই এলাকাকাতেই সুযোগর সদ্ব্যবহারের চেষ্টা করে চলেছে পাকিস্তানি এজেন্টরা। দাবি করেছে রিপোর্টটি।
এক হাজার ফোন কলকে ট্রেস!
ভারতীয় গোয়েন্দারা এই মুহূর্তে দেশের ১ হাজারটি ফোন কল ট্রেস করছেন। যার সূত্র ধরে দিল্লি হিংসাক ইন্ধনকারীদের খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সূত্রে জম্মু কাশ্মীরের যোগাযোগের সম্ভবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা।
কাশ্মীরের আইএসআই কী বলছে?
কাশ্মীরে অবস্থিত আইএসআইএস জঙ্গিরা সিএএ বিরোধী বিক্ষোভকে জেহাদের রূপ দিতে উদ্যোগ নিচ্ছে। এমন বার্তা দিয়েই আইএসআইএস -র তরফে একটি বার্তা এক ম্যাগাজিনের মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। সেই খবরও উঠে আসার পর কম চাঞ্চল্য তৈরি হয়নি।
দিল্লির হিংসায় অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি, মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকেও দায়ী করল কংগ্রেস