বিষ বাতাসের আতঙ্কে দিল্লি ছাড়তে চাইছেন স্থানীয় বাসিন্দারা, বলছে সমীক্ষা
দমবন্ধ করা বিষ বাতাসের জেরবার অবস্থা দিল্লির বাসিন্দাদের। আতঙ্কে তাঁদের অনেকেই রাজধানী ছাড়তে চাইছেন।
দমবন্ধ করা বিষ বাতাসের জেরবার অবস্থা দিল্লির বাসিন্দাদের। আতঙ্কে তাঁদের অনেকেই রাজধানী ছেড়ে চলে যেতে চাইছেন। সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। এতোটাই খারাপ অবস্থা রাজধানী দিল্লির। জারি করা হয়েছে স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা। স্কুল ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দিল্লি ছাড়তে চান বাসিন্দারা
বিষ বাতাসের আতঙ্ক ভর করেছে রাজধানী দিল্লিতে। সেখানকার ৪০ শতাংশ বাসিন্দা চাইছেন তাঁরা রাজধানী ছেড়ে অন্য শহরে গিয়ে বসবাস করতে। বিশেষ করে দিল্লি-এনসিআরের বাসিন্দাদের মধ্যেই এই চিন্তা ভাবনা শুরু হয়েছে। এদিতে ৩১ শতাংশ দাবি করেছে এই পরিবেশেই কোনও মতে এয়ার পিউরিফায়ার দিয়ে কাজ চালিয়ে নেবে তাঁরা। আর ১৩ শতাংশ বাসিন্দা জানিয়েছেন এখান ছেড়ে যাওয়ার তাঁদের উপায় নেই। এই বিষ শ্বাস নিয়েই দিন যাপন করতে হবে তাঁদের।
দূষণে আচ্ছন্ন দিল্লি
বিষাক্ত ধোঁয়া গ্রাস করেছে দিল্লি ও তার সংলগ্ন এলাকাকে। কোনওভাবেই দূষণ থেকে মুক্ত করা যাচ্ছে না দিল্লিকে। পাঞ্জাপ, হরিয়ানার চাষীদের ফসল পোড়ানোর ধোঁয়া গ্রাস করছে রাজধানী দিল্লির আকাশ। দিল্লির বায়ু দূষণ এই মুহূর্তে প্রায় ১০০০-এ পৌঁছে গিয়েছে। পরিস্থিতি এতোটাই উদ্বেগজনক। দূষণ বাড়ছে নয়ডা, গুরুগ্রামেও। শুক্রবার দিল্লিতে জারি করা হয়েছে স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা। তারপরেই সব স্কুসে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
৪৪ শতাংশ দিল্লি বাসী দূষণে অসুস্থ
রাজধানী দিল্লির দূষণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন প্রায় ৪৪ শতাংশ বাসিন্দা। সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। রবিবার সকালে দিল্লিতে হাল্কা বৃষ্টি হলেও দূষণের মাত্রা কমেনি। এতেই উদ্বেগ বাড়ছে সরকারের। দূষণের কারণে প্রায় ২৯ শতাংশ বাসিন্দাকে প্রতিদিনই চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিতে যেতে হচ্ছে। ১৪ শতাংশ বাসিন্দা দাবি করেছেন দূষণে তাঁদের শরীরে কোনও প্রভাব পড়েনি।