প্রার্থী তালিকা মাত্র ২১টি আসনে! আরজেডি-র সঙ্গে জোটের রাস্তায় হেঁটেও আসন সমঝোতায় বিপাকে কংগ্রেস
প্রার্থী তালিকা মাত্র ২১টি আসনে! আরজেডি-র সঙ্গে জোটের রাস্তায় হেঁটেও আসন সমঝোতায় বিপাকে কংগ্রেস
ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। চলতি মাসের শেষার্ধেই শুরু হচ্ছে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পর্ব। এমতাবস্থায় শাসক বিরোধী সব পক্ষই জোর দিচ্ছে শেষ মহূর্তের নির্বাচনী প্রচারে। সূত্রের খবর, জোটের রাস্তায় হাঁটালেও বিরোধী জোটের আসন সমঝোতা নিয়ে খানিক বিপাকে পড়েছে কংগ্রেস।
বিরোধী মহাজোটে কার ভাগে কয়টি আসন ?
সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী বিহারের ২৪৩টি আসনের মধ্যে আরজেডি-কংগ্রেস-বাম জোটের মধ্যে আরজেডি লড়বে ১৩৮টি আসনে। কংগ্রেস লড়বে ৭০টি আসনে। ৩০টির কাছাকাছি আসনে লড়বে বামেরা। এদিকে ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের থেকে ২০২ সালে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা বাড়লেও তার বেশিরভাগ আসনেই জয়লাভ খানিক কঠিন বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
৭০ টি আসনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র ২১টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা
এদিকে আসন সমঝোতা নিয়ে অভিযোগের সুর শোনা যায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কংগ্রেসের একাধিক বরিষ্ঠ নেতাকেও। এদিকে ৭০ টি আসনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র ২১টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। কিন্তু বাকি আসন গুলির নির্বাচনী লড়াইয়ের রূপরেখা এখনও পরিষ্কার নয় কংগ্রেসের অন্দরেরই একাধিক প্রথমসারির নেতার কাছে। এমনকী প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে দলীয় নেতৃত্ত্বের এই অস্বাভাবিক গোপনীয়তা নিয়েও বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গেছে ছোট-বড় অনেক নেতাকেই। তাদের অনেকেরই দাবী ভোটের ফল যাই হোক এই আসন সমঝোতার কারণে সংগঠনের ব্যাপ্তির নিরিখে আখেরে লাভ হবে কংগ্রেসরই।
আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে কংগ্রেস
এমতাবস্থায় কংগ্রেসের অন্দরেই অনেক নেতার ধারণা আসন বন্টনে বিশেষ দরকষাকষি না হলেও নির্বাচনী লড়াইয়ের নিরিখে কংগ্রেসকে তুলনামূলক কঠিন আসন দিতেই শেষ পর্যন্ত সমর্থ হয়েছে আরজেডি। এদিকে ২০১৫ সালে ৪১ আসনে লড়াই করে কংগ্রেস জিতেছিল ২৭টি। তাই এবারের নির্বাচনে যে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা বাড়বে সেই ইঙ্গিত অনেক আগেই মিলেছিল।
বেশ কিছু আসনে অনেকটাই বেগ পেতে হবে কংগ্রেসকে
অন্যদিকে বিহারের সুপল, মধেপুরায় বিহারীগঞ্জ আসন নিয়েও খানিক বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গেছে কংগ্রেসী নেতাদের। এর মধ্যে ২০১০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিহারীগঞ্জ আসনে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিল আরজেডি। কংগ্রেস প্রার্থী রঞ্জিত রাজন এই আসনে তৃতীয় স্থান দখল করেন। অন্যদিকে ২০১৫ আরজেডি-জেডিইউ জোটের রাস্তায় হাঁটালেও আসন ভাগাভাগির অংশ হিসাবে এই আসন জেডিইউ-র খাতায় যায়। এমতাবস্থায় এই আসনে কংগ্রেসের জয়লাভ যে বিশেষ সহজ হবে না তা একবাক্যে মানছেন সকলেই।
কোন কোন আসন নিয়ে বাড়ছে জটিলতা?
এদিকে আলমনগর আসনটিতে ২০১০ সালে দ্বিতীয় স্থানে ছিল কংগ্রেস। ২০১৫ল সালেও ভাল ফল হয়। কিন্তু বর্তমান মহাজোটের কারণে এই আসনটি আবার আরজেডি-র খাতায় যেতে চলেছে বলে খবর। তাতেও খানিকটা আশাহত বিহার প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা। একইসাথে সোনবরসা আসনেও নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। এদিকে মহাজোটের কারণে বাখোয়ারা আসনটিও সিপিআইতে যাওয়ার বিষয়ে কংগ্রেসে ইতিমধ্যে যথেষ্টই অসন্তুষ্ট হয়েছে হাত শিবির। ২০১৫ সালে এই আসনটিতেই জয়লাভ করেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা রামদেও রাই। গত মাসে তিনি মার যান। এদিকে ওই আসনে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বীতার বিষয়ে রামদেও-র ছেলেকে ইতিমধ্যেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেলেছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
বিজেপি এখন মুকুলের! দিলীপ-রাহুল ব্যাকফুটে, বুমেরাংয়ের আশঙ্কা একুশের ভোটে