সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে লম্বা ইনিংসের পথে পেঁয়াজ, করোনা আবহে তরতরিয়ে বাড়ছে দাম
গত কয়েকদিন ধরেই পেঁয়াজের দাম উর্ধ্বমুখী ছিল। করোনা এবং অতিবৃ্ষিটর জেরে বহু স্থানেই পেঁয়াজের দাম ছুঁয়েছে ১০০-র গণ্ডি। দেশে প্রধানত পেঁয়াজ উৎপাদন হয় নাসিক, পুণে, ধুলে, শোলাপুর। এছাড়াও কর্ণাটক, গুজরাট, বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও অন্ধপ্রদেশের একাংশে। কিন্তু সেখানে এ বছর অতি বৃষ্টির ফলে পেঁয়াজের ফসলের একটি বড় অংশ নষ্ট হয়ে গেছে। যার জেরে দাম বেড়েছে পেঁয়াজের।
পুণের পাইকারি বাজারে ১০০ ছুঁল পেঁয়াজের দাম
এই আবহে এবার পুণের পাইকারি বাজারে ১০০ ছুঁল পেঁয়াজের দাম। এদিকে হায়দরাবাদ এবং চেন্নাইয়ে এই মুহূর্তে খুচরো বাজারে পেঁয়াজ ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের এই চড়া দামে মাথায় হাত পড়েছে মধ্যবিত্তের। এই পরিস্থিতিতে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার নিয়মের কিছুটা কড়াকড়ি শিথিল করেছে। যদিও পেঁয়াজ মজুতের উপর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
বন্যা পরিস্থিতির জেরে পেঁয়াজের আকাল
মূলত ফলনের পেঁয়াজও দেশের সব স্থানে পৌঁছাতে পারছে না বন্যা পরিস্থিতির জেরে। এই আবহে আরতদাররা যাতে পেঁয়াজ মজুত করে রেখে ফসলের দাম না বাড়ায়, তাই কেন্দ্র শুক্রবার ঘোষণা করে যে কোনও খুচরো বিক্রেতা এবার থেকে ২ টনের থেকে বেশি পেঁয়াজ মজুত করে রাখতে পারবে না। এছাড়া পাইকারি বিক্রেতাদের ক্ষেত্রেও ২৫ টনের বেশি মজুত করা যাবে না পেঁয়াজ। এই বিধিনিষেধ আপাতত আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত লাগু করা হয়েছে।
প্রবল বৃষ্টির জেরে পেঁয়াজের ক্ষতি
প্রতি বছরই এই সময়ে পেঁয়াজের দাম বাড়ে। এ বারের প্রবল বৃষ্টির জেরে পেঁয়াজের ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে মহারাষ্ট্র-কর্ণাটক থেকে নতুন করে সরবরাহ শুরু হয়। কিন্তু বর্ষার জেরে সেখানে ফের একরের পর একর জমি চলতি বছরে ভারি বর্ষণে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে। সেখানে উৎপাদনের আপাতত কোনও আশা নেই।
পুজোর মাঝেই সুখবর, করোনা টীকা আসছে শীঘ্রই! দিনক্ষণ জানিয়ে দিল ভারত বায়োটেক