গত ১৫ বছরে বিহারে কতটা বাড়ল খুন-ধর্ষণ? অপরাধ দমনে লালুপ্রসাদের থেকে কতটা এগিয়ে নীতীশ শিবির?
গত ১৫ বছরে বিহারে কতটা বাড়ল খুন-ধর্ষণ? অপরাধ দমনে লালুপ্রসাদের থেকে কতটা এগিয়ে নীতীশ শিবির?
প্রথম দফার নির্বাচনের পর দ্বিতীয় দফাতেও বিহারে বাহুবলীদের দাপট অব্যাহত। প্রথম দফায় মোট প্রার্থীর মধ্যে বিহারে যেখানে প্রায় ৩০ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে যেখানে ফৌজদারি অপরাধের মামলা ছিল সেখানে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে দেখা যাচ্ছে মোট প্রার্থীর ৩৪ শতাংশের বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলা। এদিকে শুধুমাত্র ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচন নয় লালু-নীতিশের হাত ধরে এই ঘরানা চলেছে আসছে বিগত কয়েক দশক ধরেই।
তেজস্বীকে ‘জঙ্গলরাজের যবুরাজ’ বলে কটাক্ষ মোদীর
এদিকে অপরাধী প্রার্থীর তালিকায় নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইডেটের তুলনায় অবার অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে লালুপ্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল। এদিকে বুধবারই এই প্রসঙ্গে বিহারের শাসক বিরোধী মহাজোট তথা আরজেডি শিবিরের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদবকে একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আরজেডি শিবিরের উপর তীব্র তোপ দেগে তেজস্বী যাদবকে ‘জঙ্গলরাজের যুবরাজ' বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। এমনকী ‘কিডন্যাপিংয়ে আরজেডির কপিরাইট' আছে বলে তোপ দাগতে দেখা যায় মোদীকে।
বিহারের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে নীতীশের বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ তেজস্বীর
এদিকে এর আগেও একাধিক নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিগত দশক গুলিতে বিহারের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে আরজেডি শবিরের দিকে তীব্র আক্রমণ শানান নীতীশ কুমার। রাজ্যব্যাপী অপরাধীদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে গত ১৫ বছরের আরজেডি শাসন নিয়ে তেজস্বী যাদব ও রাবরি দেবীর বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন তিনি। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে গত পাঁচ বছরে বিহারের খুন-ধর্ষণ-রাহাজানির পরিমাণ বহুলাংশে বাড়ার পিছনে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই পাল্টা তোপ দাগতে দেখা যায় লালু পুত্রকেও।
খুন ও ডাকাতির পরিমাণ অনেকটাই কমেছে নীতীশ সরকারের আমলে
এদিকে বর্তমানে হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ এবং ডাকাত প্রসঙ্গে বিহার পুলিশের প্রকাশিত তথ্যেই দুই সরকারের শাসনের একটি তুল্যমূল্য প্রতিচ্ছবি সামনে আসে। যেখানে ২০০৪ সালের পর থেকে থেকে দেখা যাচ্ছে আরজেডি-র আমলে যেখানে রাজ্যে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনা অনেকাংশে বেড়েছে সেখানে আবার উল্টোদিকে দেখা যাচ্ছে নীতীশ সরকারের আমলে আবার খুন ও ডাকাতির ঘটনা অনেকটাই কমেছে।
১৫ বছরে কতটা কমল বিহারের সংগঠিত অপরাধের ঘটনা?
রাজ্য পুলিশের তরফে প্রকাশিত পরকিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে ২০০৪ সালে যেখানে বিহারে মোট অপহরণের ঘটনা ঘটেছিল ২৫৬৬ টি সেখানে ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ হাজার ৯২৫। অন্যদিকে এই পরিসংখ্যানেই দেখা যাচ্ছে ২০০৪ সালে বিহারে যেখানে ৩ হাজার ৮৬১টি খুনের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছিল সেখানে ২০১৯ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৩ হাজার ১৩৮। পাশাপাশি ২০০৪ সালে রাজ্যজুড়ে যেখানে ১২৯৭টি ডাকাতির ঘটনা নথিভুক্ত হয় ২০১৯ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৩৯১। সহজ ভাষায় ১৫ বছরের ব্যবধানে বিহারে ডাকাতির ঘটনাপ্রায় ৬৯ শতাংশ কমে যায়।
প্রশান্ত কিশোরকেও ছেড়ে কথা বললেন না রাজ্যপাল! নিশানা বিজেপি নেতাদের ঢঙেই