মোদী-ঝড় কি ম্লান কোভিডের করুণ পরিস্থিতিতে! পরবর্তী নির্বাচনের আগে বিজেপি-আরএসএসের অন্দরমহল সরগরম
কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম বলেছিলেন মূলত বাংলার ভোটের শেষ ৫ দফায় বিজেপি হেরে গিয়েছে। করোনার দ্বিতীয় স্রোতে মোদী সরকারের ব্যর্থতাই তাদের হারিয়েছে। এদিকে, বিদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কার্যত মোদীর 'মিস ম্যানেজমেন্টকে' কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। এমন অবস্থায় মোদী সরকারের কোভিড ম্যানেজমেন্টকে ক্যানভাসে রেখে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে নড়েচড়ে বসছে আরএসএস-বিজেপি। দাবি এক ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের।
গেরুয়া অন্দরমহলে কী ঘটছে?
সূত্রের দাবি, যেভাবে করোনার দ্বিতীয় স্রোতে মোদী সরকারের ব্যর্থতার খবর বারবার সামনে আসছে, তাতে বিজেপি যতটা অস্বস্তিতে, ততটাই অস্বস্তি আরএসএসএর। একদিকে কোভিড ম্যানেজমেন্ট ঘিরে মোদী সরকার কাঠগড়ায়, অন্য়দিকে, একাধিক রাজ্যের ভোটে বিজেপির পিছিয়ে পড়ার ঘটনা গভীর উদ্বেগে রেখেছে গেরুয়া শিবিরকে।
কোন আশঙ্কা শুরু?
প্রসঙ্গত, এক মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, গেরুয়া শিবিরের নেতাদের আশঙ্কা , করোনার জেরে । যেভাবে অতিমারী ছড়াচ্ছে, তার প্রভাব আগামীর ভোটে পড়ৃবে কি না, তা নিয়ে। কারণ ,'একজনের মনের কষ্ট, বা কারোর ওপর রোষ বহুভাবে প্রকাশ পেতে পারে। ' এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশ থেকে বিহারের গ্রামগুলিতে যেভাবে করোনা ছড়াচ্ছে , তাতে আগামী ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে বিজেপি গড় দখলে রাখা নিয়ে ইতিমধ্যেই ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে।
অস্বস্তি বাড়ছে যোগীকে পাঠানো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর চিঠি ঘিরে
এদিকে উত্তরপ্রদেশের বুকে অক্সিজেনের কমতি নিয়ে ইতিমধ্যেই সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি লিখেছেন মোদী সরকারের মন্ত্রী সন্তোষ গাংওয়্যার। যে ঘটনা অস্বস্তিতে রেখেছে বিজেপিকে। অনেকেই মনে করছেন এই পরিস্থিতিতে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে মন্ত্রিসভায় কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন।
মোদীর কোভিড ম্যানেজমেন্ট
পশ্চিমবঙ্গের বুকে বিজেপির পর পর সভায় অমিত শাহ থেকে নরেন্দ্র মোদীর ছুটে আসা যেমন নজর কেড়েছে জাতীয় রাজনীতির , তেমনই সভায় লোক জমায়েত নিয়ে প্রবল সমালোচনার বার্তা দিয়েছে বিদেশী মিডিয়া। এদিকে করোনার করুণ পরিস্থিতিতে মোদী সরকার 'ব্যর্থ', একথা মানতে নারাজ সরকারের পক্ষের অনেকেই। বহু আমলাস্থানীয়ের মতে, কোভিডের দ্বিতীয় স্রোত কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তা নিয়ে আগাম সতর্কতা না থাকাতেই এই পরিস্থিতি। ফলে অবস্থা সামাল দিতে সরকারকে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে মোদী সরকারের কোভিড পরিস্থিতির রিপোর্টকার্ড আগামীতে দেশের একাধিক নির্বাচনে ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হতে পারে কি না, তা নিয়ে প্রবল জল্পনা বিজেপি-আরএসএসের মধ্যে রয়েছে বলে খবর।