করোনা লকডাউন আরও এক নতুন মহামারির জন্ম দিচ্ছে ঘরে ঘরে, বলছেন খোদ বিশেষজ্ঞরা
করোনা লকডাউন আরও এক নতুন মহামারির জন্ম দিচ্ছে ঘরে ঘরে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
করোনা ভাইরাসের দাপটে লকডাউনের জেরে বিশ্ববাসী সকলেই প্রায় গৃহবন্দি। আর এই কারণে মানুষের মনে বাড়ছে মানসিক নিরাপত্তাহীনতা, যার জন্য স্থুলতা বাসা বাধছে মানুষের শরীরে এবং যা স্থুলতার মহামারি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
লকডাউন স্থুলতার উত্থানকে বাড়িয়ে দিচ্ছে
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কোভিড-১৯-এর বিস্তার কমাতে বিভিন্ন কৌশলের কারণে স্থুলতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ডেনমার্কের কুপেনহাগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ক্রিস্টোফার ক্লেমেনসেন বলেন, ‘আমরা উদ্বিগ্ন যে নীতিনির্ধারকরা কীভাবে লকডাউন এবং ব্যবসায়িক বন্ধের মতো কৌশলগুলি স্থুলতার উত্থানকে বাড়িয়ে তুলতে পারে তা পুরোপুরি বুঝতে পারছে না, মারাত্মক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রভাব সহ একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যার শুধু কয়েকটি নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা বিকল্প রয়েছে।' এই সমীক্ষায় গবেষকদের দল কোভিড-১৯ কনটেইনমেন্ট কৌশলগুলি কীভাবে স্তুলতার হার বাড়িয়ে তুলেছে তার রূপরেখা তৈরি করেছে।
অতিরিক্ত খাওয়া
প্রথমত, এটি সুস্পষ্টভাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে যে সীমিত অর্থনৈতিক সংস্থানযুক্ত মানুষের মধ্যে অত্যন্ত প্রক্রিয়াজাত এবং শক্তি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই খাবারগুলি মানুষের মধ্যে ক্ষিধেকে আরও বেশি করে জাগিয়ে তোলে এবং যার ফলে তাঁরা বেশি ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেয়ে নেয়। গবেষকরা বলেছেন, ‘এই সময় অনেক মানুষের চাকরি চলে গিয়েছে এবং তারা অর্থনৈতিক কঠিনতার সম্মুখিন হয়েছেন তাই মনোযোগ ঘোরাতে খাবারের দিকে মনোনিবেশ করেছেন।'
খাদ্য অভ্যাসের ওপর প্রভাব পড়ছে
দ্বিতীয়ত, শারীরিক দুরত্বের ফলে সামাজিক যোগাযোগের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার উদ্বেগ বেড়েছে আমাদের মধ্যে। একা থাকার অনুভব ও আইসোলেশন, বাড়ির মধ্যে বন্দী অবস্থায় থাকা এ সবকিছুই প্রভাব ফেলেছে আমাদের খাদ্যাভাসের ওপর এবং যার ফলে আমরা অতিরিক্ত পরিমাণে খাচ্ছি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শারীরিক ক্রিয়াকলাপের হ্রাস, কারণ এখন সকলকেই বাড়ি বসে কাজ করতে বলা হয়েছে এবং যতটা সম্ভব কম বাইরে বেড়োনোর জন্য আর্জি জানানো হয়েছে।
স্থুলতার সঙ্গে যোগ মানসিক স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক অবস্থার
গবেষকদের দলকে উদ্বিগ্ন করে দিয়েছিল এই বিষয়টি যে কীভাবে একজন মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ও তাঁর অর্থনৈতিক অবস্থা তাঁর স্থুলতার ঝুঁকিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। গবেষকরা বলেন, ‘আমরা জানি স্থুলতা এবং ব্যক্তির শ্রেণি এবং মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যে যোগ রয়েছে তবে তারা কীভাবে প্রভাব ফেলছে আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না।'
আরও গবেষণার প্রয়োজন
কারণ এবং প্রভাব উদঘাটনের জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন, তবে গবেষকের দলটি জানিযেছিলেন যে বৈজ্ঞানিক প্রত্যাশাগুলি পরিষ্কার, শারীরিক দূরত্ব এবং বেকারত্বের ক্রমবর্ধমান হার আমাদের স্থুলতার বর্ধিত হারের বৃদ্ধি করতে পরিচালিত করবে। গবেষকরা তবে এও বলেন, ‘এটি মাথায় রেখে, পাল্টা কৌশলগুলি যেগুলি জনসাধারণকে সুস্থ, সুখী এবং সক্রিয় এবং করোনা ভাইরাস থেকেও নিরাপদ থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য বিবেচনা করা উচিত।'
প্রশান্ত কিশোরই এখন 'বাধা’ মমতার কাছে! সমীক্ষায় কঠিন তৃণমূলের জাল বিছনো