বিতর্কে ঘেরা জাতীয় নাগরিকত্ব পঞ্জীকরণ! অসমের তৈরি হচ্ছে সাধারণ তথ্যভাণ্ডার
বিতর্কে ঘেরা অসমের জাতীয় নাগরিকত্ব পঞ্জীকরণের চূড়ান্ত খসড়া। এই চূড়ান্ত খসড়াকে ধরেই জাতীয় নাগরিকত্ব পঞ্জীকরণের দফতর নাগরিকদের একটা সাধারণ তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করতে চলেছে।
বিতর্কে ঘেরা অসমের জাতীয় নাগরিকত্ব পঞ্জীকরণের চূড়ান্ত খসড়া। যা প্রকাশিত হতে চলেছে ৩০ জুলাই। তবে এই চূড়ান্ত খসড়াকে ধরেই জাতীয় নাগরিকত্ব পঞ্জীকরণের দফতর নাগরিকদের একটা সাধারণ তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করতে চলেছে। যার মধ্যে সাধারণ নাগরিক ছাড়াও, যাঁদের বিদেশি বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাঁরা মধ্যবর্তী অবস্থানে রয়েছেন সবাইকেই রাখা হচ্ছে। রাজ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতেই এই ব্যবস্থা বলে জানা গিয়েছে।
তথ্যভাণ্ডার তৈরি করতে নির্বাচন কমিশন, অসম বর্ডার পুলিশ অর্গানাইজেশন, এনআরসির সাহায্য নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে এই তথ্যগুলিকে ওয়েবসাইটে তোলা হবে, যাতে এইসব দফতরগুলির তাদের কাজে তথ্যের ব্যবহার করতে পারে। ডাউটফুল ভোটারদের নিয়ে ফরেনার্স ট্রাইবুনালের দেওয়া আদেশও এই সিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
অসমের স্বরাষ্ট্র সচিব এলএস চাংসান বলেছেন, বিভ্রান্তি এবং ওভারল্যাপিং দূর করতেই সাধারণ তথ্যভাণ্ডার করা হচ্ছে। অসমের জাতীয় নাগরিকত্ব পঞ্জীকরণের সঙ্গে যুক্ত বিভাগের সবগুলিই এই তথ্যভাণ্ডারের সাহায্য নিচ্ছে।
তথ্যভাণ্ডার না থাকায় বিভিন্ন দফতরের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব দেখা গিয়েছিল। বিতর্কও হয়েছিল।
এমন অনেকের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল, যাঁদের ফরেনার্স ট্রাইবুনাল ছাড়পত্র দিলেও, নির্বাচনের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারছিলেন না। এই তালিকায় যেমন বাংলাভাষীরা ছিলেন, তেমনই ছিলেন অন্যরাও।
তথ্যভাণ্ডারটি সম্পূর্ণরূপে কাজ শুরু করলে, পুরো বিষয়টি নিয়েই কাজে সুবিধা হবে। যদি ফরেনার্স ট্রাইবুনাল কাউকে বিদেশি বলে ঘোষণা করে, তাহলে সেই তথ্য সবকটি জেলাতেই পাওয়া যাবে। অন্যদিকে, যদি কোনও বাসিন্দা অসমের নাগরিক হিসেবে পরিচয় পান, তাহলেও সেই তথ্য এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত সবকটি সরকারি সংস্থার কাছে পৌঁছে যাবে। তবে এই তথ্যভাণ্ডারটি কবে সম্পূর্ণ রূপ পাবে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু বলতে পারেননি সরকারি কর্তারা।
৩০ জুলাই-এর খসড়া প্রকাশের পর ফের আরেকবার দাবি ও আপত্তি জানানোর সময় পাওয়া যাবে। তা পরীক্ষা করতেও লেগে যাবে কয়েকমাস। তবে অসমের নাগরিকদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হবে, সব দফতর থেকে তথ্য পাওয়ার পরই।