নেই সময়ের বাধ্যবাধকতা, মানুষ যখন খুশি এসে নিতে পারবে করোনার টিকা
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন যে কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন টিকাকরণের গতি বাড়াতে সরকার সময়সীমা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। হর্ষ বর্ধন এদিন হিন্দিতে টুইট করে বলেন, 'টিকাকরণের গতি বাড়াতে সরকার নির্দিষ্ট সময়সীমা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এখন মানুষ তাঁর সুবিধা অনুযায়ী সপ্তাহে সাতদিন ২৪ ঘণ্টাই টিকা নিতে যেতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি তাঁদের সময়ের মূল্য বুঝেছেন।’
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন যে সুবিধাভোগীদের জন্য সকাল ৯টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত টিকাকরণের সময়সীমা প্রত্যাহার করা হল এবং এটা হাসপাতালের ওপর ছেড়ে দেওয়া হল যে তারা বিকেল পাঁচটার পরও টিকাকরণ চালাবে কিনা। রাজেশ ভূষণ বলেন, 'কোউইন ২.০ ভ্যাকসিনেশন সেশনের সময় সকাল ন’টা থেকে বিকেল পাঁচটা নয়। এটা টাইমলাইনের মধ্যে শেষ হবে না। যদি হাসপাতালের যোগ্যতা থাকে, তবে টিকাকরণ বিকেল পাঁচটার পরও চলবে। এ নিয়ে তাদের রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।’
সোমবার থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় পর্যায়ের ভ্যাকসিন ড্রাইভ যা ষাটোর্ধ্ব এবং ৪৫ বছর ও যাঁদের একাধিক রোগ রয়েছে, তাঁদের টিকা দেওয়া হবে। আয়ুষ্মান ভারতের অধীনে প্রায় দশ হাজার বেসরকারি হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় সরকার স্বাস্থ্য প্রকল্পের (সিজিএইচএস) আওতায় ৬০০ এবং রাজ্য স্বাস্থ্য বীমাকে টিকা কেন্দ্র হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। মঙ্গলবার কেন্দ্র। কোভিড–১৯ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া শুরু হয়েছে ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে। যাঁদের প্রথম ডোজ নেওয়ার ২৮দিন অতিক্রম হয়ে গিয়েছে তাঁরাই দ্বিতীয় ডোজ নিচ্ছেন।
বুধবার সকাল সাতটা পর্যন্ত ১.৫৬ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ ৩,১২,১৮৮টি সেশনের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দু’টি অগ্রাধিকার গ্রুপের ৪,৩৪,৯৮১ সুবিধাভোগী করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। কেন্দ্র এও জানিয়েছে যে সোমবার থেকে কোউইন ওয়েবসাইটে ৫০ লক্ষ নাম নথিভুক্ত হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণের সভাপতিত্বে, ভ্যাকসিন প্রশাসনের ক্ষমতায়িত গ্রুপের চেয়ারম্যান ডাঃ রাম এস শর্মার সঙ্গে এক উচ্চ-স্তরের বৈঠকে রাজ্যগুলিকে সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালে টিকাকরণের সুবিধা বাড়ানোর ও তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।