ফাঁসির আগে কান্নায় ভেঙে পড়ে নির্ভয়ার ৪ ধর্ষক! উঠে আসছে একাধিক তথ্য
স্বেচ্ছা মৃত্যুর আবেদন থেকে আন্তর্জাতিক আদলতে ক্ষমাভিক্ষার আবেদন, সমস্ত পন্থাই বাঁচার জন্য হাতড়েছে নির্ভয়া গণধর্ষণ মামলার ৪ দোষী। এদিন ভারতে ইতিহাসে প্রথমবার কোনও মামলায় ৪ জন দোষীকে একসঙ্গে ফাঁসি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে নির্ভয়ার নারকীয় গণধর্ষণের মামলায় আজ ৪ দোষীকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়। এই ফাঁসির আগে তিহারে দোষীদের পরিস্থিতি কেমন ছিল, সে সম্পর্কে উঠে আসছে কিছু তথ্য।
তিহার জেলে নিরাপত্তা
ফাঁসির আগের দিন থেকেই নিস্তেজ হয়ে পড়ে চতুর্থ দোষী পবন। সে কথা বলা বন্ধ করে দেয় বলে খবর ছিল। এদিকে, তিহার জেল কর্তৃপক্ষ নজর রেখে যাচ্ছিল দোষীদের ওপর। তাদের গতিবিধির দিকে নজর ছিল তিহারের।
খেতে চায়নি ধর্ষকরা!
জানা গিয়েছে, ধর্ষকরা ফাঁসারি আগে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই প্রস্তুত হয়। এর আগে , তারা আগের রাতে কোনও খাবার খেতে চায়নি। এরপর ফাঁসির নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ধর্ষকরা ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তবে ফাঁসির কয়েক ঘণ্টা আগে তারা কান্নায় ভেঙে পড়ে বলে খবর তিহার জেল সূত্রে। যদিও এই তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি।
শেষ ইচ্ছা নিয়ে কী জানা যায়
প্রাথমিক ভাবে দোষীরা নিজের শেষ ইচ্ছায় কিছু লিখতে চায়নি। কারণ তাদের বিশ্বাস ছিল মৃত্যুদণ্ড এড়ানো যাবে। ফলে লিখিত আকারে সেভাবে কিছু আসেনি। এদিকে, জানা যায়, বিনয় শর্মা নিজের আঁকা ছবি দান করতে চেয়েছিল। আর মুকেশ চেয়েছিল দেহ দান করতে।
পোস্টমর্টেমে দেহ
দোষীদের দেহ মৃত্যুর পর দিনদয়াল হাসপাতালে পোস্ট মর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে দেহ এলেই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে দোষীদের দেহ। যদি তা পরিবার নিতে অস্বীকার করে , তাহলে পুলিশ প্রশসানই তাদের অন্ত্যেষ্টি করবে।