১৬ ডিসেম্বরের রাতে 'লাইফ অফ পাই' দেখে ফিরছিলেন নির্ভয়া ও তাঁর সঙ্গী, এরপর..
প্যারামেডিক্যালের ছাত্রী ছিলেন তিনি। ১৬ ডিসেম্বরের রাত শুধু তাঁর জীবন পাল্টেই দেয়নি, পাল্টে দিয়েছে তাঁর নামের পরিচিতি .. কেড়ে নিয়েছে জীবন। এমন বিভীষিকারই সম্মুখীন হয়েছিল দিল্লির ২৩ বছরের প্যারামেডিক্যালের ছাত্রী নির্ভয়া। ধর্ষণের ঘটনার পর যাঁর পরিচিতি রাতারাতি পাল্টে যায়। দেশ তাঁকে চিনতে শুরু করে 'নির্ভয়া' নামে (কারণ ,ধর্ষণ শিকার হওয়া মহিলার নাম , পরিচিতি প্রকাশ নিয়ম বিরুদ্ধ)। কী ঘটেছিল সেই রাতে ,যা আজও দিল্লিকে ত্রস্ত করে..
সিনেমা দেখে ফিরছিলেন দুজনে..
সেই রাতে 'লাইফ অফ পাই' ফিল্মটি দেখে ফিরছিলেন নির্ভয়া (নাম পাল্টে দেওয়া হয়েছে) ও তাঁর সঙ্গী। যা খুব একটা অস্বাভাবিক ঘটনা নয়! আর চার পাঁচজনের মতো তাঁরাও ফিল্ম দেখে নিজেজের মতো সময় উপভোগ করতে করতে ফিরছিলেন। ওঁরা ফিরছিলেন একটি বাসে। আর সেখানেই ঘটে যায় নারকীয় গণধর্ষণ। তরুণীর যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে চলে ধর্ষকদের পাশবিক উল্লাস।
নৃশংসভাবে মারধর করা হয় সঙ্গীকে
দক্ষিণ দিল্লির মুনিরকা থেকে বাসে চড়তেই তাঁরা দেখেন সেখানে ৬ জন ব্যক্তি বসে রয়েছেন। আর আচমকাই বাস উল্টো রাস্তায় ঘুরতে শুরু করে। বাসের দরজায় ধাক্কা মেরে তখন বাস রোখার জন্য চেঁচাতে থাকেন দু'জন। কিন্তু ততক্ষণে নারকীয় মেজাজে মদ্যপ অবস্থায় তরুণীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ৬ জন।
নারকীয় অত্যাচার
এক ঘণ্টা ধরে নারকীয় অত্যাচার চলে মহিলার ওপর। চলন্ত বাসের স্টিয়ারিং তখন কখনও মুকেশের হাতে , তো কখনও রাম সিংয়ের হাতে। আর ততক্ষণে ঘটনার বাধা দানে উদ্যত হয় তরুণীর সঙ্গে থাকা বন্ধু। এরপরই সেই বন্ধুকেও লোহার রডের বাড়ি আঘাত করা হয়।
শুরু হয় আরও অত্যাচার
এরপর সেই রড তরুণীর যৌনাঙ্গে প্রবেশ করিয়ে পাশবিক উল্লাসে মেতে ওঠে মদ্যপ দোষীরা। আরসারা দিল্লি জুড়ে বাস ঘুরতে থাকে। অথচ বাইরে থেকে কেউ টেরই পায়নি তখন। এরপর দুজনকে অর্ধমৃত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে পালায় ধর্ষকরা।
শুরু হয় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়া
এরপরই গুরুতর আহত দুজনকে ভর্তি করা হয় সফদরজং হাসপাতালে। তরুণীর বন্ধু সুস্থ হয়ে উঠলেও, তরুণীর অবস্থা সংকটজনক হয়ে যায়। ২৯ ডিসেম্বর সে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে।