দুই নিখোঁজ জঙ্গির রহস্য সমাধানে ফের পাঠানকোটে এনআইএ
নয়াদিল্লি, ১০ ফেব্রুয়ারি : পাঞ্জাবের পাঠানকোটে জঙ্গি হামলা হওয়া বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ফের তদন্তে যাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) একটি বিশেষ দল। [পাঠানকোট, গুরুদাসপুরে ফের জারি হাই অ্যালার্ট, চলছে তল্লাশি]
পয়লা জানুয়ারির রাতে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে আসা জঙ্গিদের একটি দল পাঠানকোটে হামলা চালায়। জানা গিয়েছে, সেই সময়ে হামলা চালাতে আসা জঙ্গিদের মধ্যে দু'জন নাকি নিখোঁজ। তাদের খুঁজে পাওয়ার সূত্র উদ্ধারে ফের একবার বায়ুসেনা ঘাঁটিতে যাবেন গোয়েন্দারা। [পাঠানকোট হামলায় মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণই পেল না পাকিস্তান!]
এনআইএ প্রধান শরদ কুমারের নেতৃত্বে ফের একবার তদারকিতে গিয়ে দেখা হবে, কীভাবে জঙ্গিদের মধ্যে দু'জন খোঁজ এখনও পাওয়া গেল না। কোন পথে জঙ্গিরা পালাল, নাকি মোট চারজনই এসেছিল সেটা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। [ পাঠানকোট জঙ্গি হামলা নিয়ে পাকিস্তানকে নতুন প্রমাণ দিল ভারত]
এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঠানকোটে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালাতে মোট ছয় জন জঙ্গি এসেছিল নাকি চারজন এসেছিল তা পুরো তদন্ত শেষ না হলে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তার মধ্যে মোট চারজনকে মেরে ফেলা গিয়েছে। আর দুই জঙ্গি যদি মারা গিয়ে থাকে তাহলে এখনও লাশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। [পাঠানকোট হামলা : এই প্রমাণগুলি বলছে হামলাকারীরা পাকিস্তানিই]
অকুস্থলে জঙ্গিদের ব্যবহৃত চারটি একে-৪৭ রাইফেল ও তিনটি পিস্তল উদ্ধার হলেও দুই জঙ্গির লাশ কোনওভাবেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। আর এতেই ফের সন্দেহ ঘনীভূত হয়েছে।
কারণ পাঠানকোটে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে মোট দু'দফায় সেনা-জঙ্গি এনকাউন্টার হয়েছিল। প্রথম দফার এনকাউন্টারে জঙ্গিদের ব্যবহৃত রাইফেল ও পিস্তল খুঁজে পাওয়া গেলেও পরের বারের এনকাউন্টারে ব্যবহৃত অস্ত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এনকাউন্টারের সময়ে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল। সেইসময়ে দুই জঙ্গির দেহ ও অস্ত্র পুড়ে যায় কিনা সেটা নিশ্চিত করতে সেখানকার ছাই ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেটার রিপোর্ট হাতে এলেই জানা যাবে দুই জঙ্গি নিখোঁজের আসল রহস্য।