কৃষক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে নারী দিবসের দিন ৪০ হাজার মহিলা দিল্লির পথে
সোমবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে তাঁদের ক্ষমতা দেখানোর উদ্দেশ্যে কৃষক আন্দোলনের মহিলা প্রতিবাদকারীরা দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। এতদিন জাতীয় রাজধানীর সিংঘু সীমান্ত সহ বিভিন্ন সীমান্তে শুধুমাত্র পুরুষ কৃষকরাই প্রতিবাদের মুখ্য মুখ হয়ে উঠেছিলেন। আর মহিলাদের দেখা যেত কৃষিক্ষেত্রে কাজ করতে অথবা দিল্লি বা অন্যান্য প্রতিবাদের স্থানে রান্না করতে।
হাজার হাজার মহিলা প্রতিবাদকারী, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ পাঞ্জাব ও হরিয়ানার বিভিন্ন জেলা থেকে নিজেরাই ট্র্যাক্টর চালিয়ে দিল্লির দিকে আসছেন। দিল্লির সীমান্তের প্রতিবাদ স্থানে সকলে জমায়েত হয়ে সোমবারের আন্তর্জাতিক মহিলা দিবসকে আরও একটু বিশেষভাবে স্মরণীয় করতে চান তাঁরা। প্রতিবাদ স্থানে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপসলক্ষ্যে এই মহিলা প্রতিবাদকারীদের জন্য মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। কৃষক নেতারা জানিয়েছেন, কৃষিক্ষেত্র ও জীবনে নারীর ভূমিকা জানানোর জন্য আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন এই বিস্তৃত ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্বরাজ ইন্ডিয়ার সভাপতি যোগেন্দ্র যাদব বলেন, 'সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা আন্দোলনের সময় সর্বদা মহিলা কৃষকদের ক্ষমতাকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। সব জায়গায় মহিলারা প্রতিবাদের নেতৃত্বে থাকেন, তা সে টোলের বাধা হোক বা স্থায়ী কোনও প্রতিবাদ স্থান। আজকের দিনটা তাঁদের।’ কৃষক সংগঠনের দাবি, প্রায় ৪০ হাজার মহিলা পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সিংঘু, টিকরি ও গাজিপুর সহ দিল্লির প্রতিবাদ স্থানে জমায়েত হতে আসছে। এছাড়াও প্রত্যেক কৃষক সংগঠনের মহিলা শাখা রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের (উগ্রাহন) মহিলা শাখাটি।
কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই মহিলারা সোমবার আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস পালন করে তাঁদের সন্তান, ক্ষেত ও পরিবারের বয়স্কদের দেখভাল করার জন্য আবার ফিরে যাবেন।
ভারতীয় কিষাণ সংগঠনের (উগ্রাহন) সাধারণ সম্পাদক সুখদেব সিং কোকরিকালান বলেন, 'ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের (উগ্রাহন) পক্ষ থেকে ৫০০টি বাস, ৬০০টি মিনিবাস, ১১৫টি ট্রাকের পাশাপাশি ২০০টি ছোট গাড়ির বন্দোবস্ত করা হয়েছে মহিলা প্রতিবাদকারীদের জন্য। সোমবার আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস উদযাপন করার পর তাঁরা পরের দিন নিজেদের গ্রামে ফিরে যাবেন।’