ফের নয়া রেকর্ড ভারতের, দেশজোড়া উদ্বেগের মধ্যেই ২০০ দিনের টিকাকরণে ছুঁল নয়া মাইল ফলক
ফের নয়া রেকর্ড ভারতের, দেশজোড়া উদ্বেগের মধ্যেই ২০০ দিনের টিকাকরণে ছুঁল নয়া মাইল ফলক
দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর ইতিমধ্যেই থাবা বসাতে শুরু করেছে করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ। এদিকে করোনা রুখতে টিকাই যে অব্যর্থ ওষুধ তা বারে বারে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতের সকল প্রাপ্ত বয়স্ককে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হলেও তা পূরণ নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। যদিও এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা টিকার দুটি ডোজই পেয়েছেন ৭.৮৭ শতাংশ মানুষ। টিকাকরণ শুরুর পর থেকে যা বিশ্বের মধ্যে একক কোনও দেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ।
১৬ জানুয়ারি থেকে টিকাকরণ প্রক্রিয়া
এদিকে গত ১৬ জানুয়ারি ভারতে প্রথম শুরু হয় করোনা টিকাকরণ। ৩ অগাষ্ট পর্যন্ত তা ২০০ দিনে পা দেয়। এদিকে পরিসংখ্যান বলছে এখনও পর্যন্ত দেশে ৪৮ কোটি ৫২লক্ষ ৮৬ হজার ৫৭০ টিকা ডোজ দেওয়া হয়েছে। হিসাব বলছে এখনও পর্যন্ত দৈনিক গড়ে ২৪ লক্ষ ২৬ হাজার ৪৩২ টিকা দেওয়া হয়েছে গোটা দেশে। এদিকে ২০১১-র আদমসুমারি অনুযায়ি ভারতে মোট প্রাপ্ত বয়ষ্কের সংখ্যা রয়েছে ৯৪ কোটি। কিন্তু বর্তমানে যে হারে টিকাকরণ চলছে তাতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে লক্ষ্যমাত্র পূরণ হয় কিনা এখন সেটাই দেখার।
কেমন ছিল প্রথম দফার টিকাকরণ
এদিকে প্রথম দফার টিকাকরণে মূলত স্বাস্থ্য কর্মীদের টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্র দেয় সরকার। টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয় এক কোটি স্বাস্থ্য কর্মীকে। প্রথম দফার টিকাকরণের প্রথম ১৬ দিনে ৩৭ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮৪৩টি টিকা ডোজ দেওয়া হয়। অন্যদিকে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয় দ্বিতীয় পর্বের করোনা টিকাকরণ। স্বাস্থ্য কর্মী ছাড়াও পুলিশ ও প্রথমসারির সমস্ত করোনা যোদ্ধাদের টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেয় সরকার। মোট টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয় ৩ কোটি মানুষকে। সাংবাদিক, ড্রাইভার এবং কুরিয়ার সহ বিভিন্ন জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরও এই পর্বে করোনা টিকা দেওয়া হয়।
সালের মার্চ থেকেই ভারত ব্যাপক টিকা অভিযান শুরু
অন্যদিকে ২০২১ সালের মার্চ থেকেই ভারত ব্যাপক টিকা অভিযান শুরু করে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, এই পর্যায়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৭ কোটি। ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের টিকাকরণে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় এই ক্ষেত্রে। পাশাপাশি ৪৫ বছরের বেশি কোমরবিডিটি যুক্ত ব্যক্তিদেরও এই ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় বলে জানা যায়। এমনকী যার ফলে লক্ষ্যমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ কোটি। দ্বিতীয় ধাপের করোনা টিকাকরণ চলাকালীন সময়ে মোট ৫ কোটি ৮ লক্ষের বেশি ডোজ দেওয়া হয় গোটা দেশজুড়ে।
১ এপ্রিল থেকে শুরু হয় তৃতীয় পর্বের করোনা টিকাকরণ
অন্যদিকে এপ্রিলের ১ তারিখ থেকে শুরু হয় তৃতীয় পর্বের করোনা টিকাকরণ। ৪৫ বছরের উর্ধে সকল ব্যক্তিকেই করোনা টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেয় সরকার। তালিকায় চলে আসে প্রায় ৩৪ কোটির বেশি মানুষ। এমনকী এই সময় থেকেই দফায় দফায় টিকা বণ্টন নীতিতেও বদল আনে সরকার। এনমকী গত জুনের ২১ তারিখ দেশজুড়ে চালু হয় ভ্যাকসিন নীতি ৩.০।