কংগ্রেস ও এনসিপির দূরত্ব কমছে! ভারত জোড়ো যাত্রায় রাহুলকে স্বাগত জানাবেন পাওয়ার
কংগ্রেস ও এনসিপির দূরত্ব কমছে! ভারত জোড়ো যাত্রায় রাহুলকে স্বাগত জানাবেন পাওয়ার
একটা সময় কংগ্রেসের প্রথণ সারির নেতা ছিলেন শারদ পাওয়ার। পরে মতবিরোধের জেরে কংগ্রেস ছেড়ে গড়েছিলেন জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপি। সেই এনসিপি কংগ্রেসের সঙ্গেই হাত মিলিয়ে চলেছে। এবার কংগ্রেস ও এনসিপির দূরত্ব আরও কমছে! কেননা ভারত জোড়ো যাত্রায় এবার রাহুলকে স্বাগত জানাবেন শারদ পাওয়ার।
২০২৪-এর জোট রাজনীতির লক্ষ্যে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ
কংগ্রেসের সুদিন ফেরাতে দেশব্যাপী একতার বার্তা দিতে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছেন রাহুল গান্ধী। কন্যা কুমারী থেকে শুরু হয়েছে সেই যাত্রা, তা ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু, কেরালা, কর্নাটক পেরিয়ে মহারাষ্ট্রে প্রবেশ করতে চলেছে। সেখানে রাহুলের নেতৃত্বে ভারত জোড়ো যাত্রাকে স্বাগত জানাবেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার। এই উদ্যোগ ২০২৪-এর জোট রাজনীতির লক্ষ্যে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
শরিক দলগুলির সহায়তা পাচ্ছে কংগ্রেস, পাচ্ছে অক্সিজেন
মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা বালাসাহেব থোরাট জানিয়েছেন, গোটা রাজ্যে মোট ৩৬০ কিলোমিটার পদ পরিক্রমা করা হবে। ভারত জোড়ো যাত্রায় হারানো জমি ফিরে পেতে যে উদ্যোগ নিয়েছেন রাহুল গান্ধী, সেখানে শরিক দলগুলির যে সহায়তা পাচ্ছে কংগ্রেস, তা ২০২৪-এর আগে তাদের অক্সিজেন জোগাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রাহুলের এই পদযাত্রা মহারাষ্ট্রে জোট শক্তিশালী হবে
কর্নাটক পেরিয়ে মহারাষ্ট্রে পৌঁছনোর পর রাহুলকে স্বাগত জানাবেন পাওয়ার। জুলাই মাসে রাজ্যে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে কংগ্রেস-এনসিপি-শিবসেনার জোট সরকার। তারপর এই রাজ্যে রাহুলের নেতৃত্বে পদযাত্রা নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে। এখন দেখার রাহুলের এই পদযাত্রা মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসকে এবং তাঁদের জোটসঙ্গীদের অক্সিজেন দিতে পারে কি না।
রাহুলের নেতৃত্বে ভারত জোড়ো যাত্রায় পাওয়ার
কংগ্রেস সূত্রেই জানা গিয়েছে, রাহুলের নেতৃত্বে ভারত জোড়ো যাত্রা মহারাষ্ট্রের নান্দের জেলায় এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার যোগ দেবেন। ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা দিগ্বিজয় সিংয়ের সঙ্গে পাওয়ারের কথা হয়েছে এই মর্মে। পাওয়ারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাহুলের নেতৃত্বে ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দিতে। পাওয়ার তাতে সম্মতি দিয়েছেন।
মহারাষ্ট্রের আটটি জেলায় ১৬ দিন পদযাত্রা, ১০ জনসভা
মহারাষ্ট্রের আটটি জেলায় ১৬ দিন ধরে চলবে এই পদযাত্রা। যাত্রাপথে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ১০টি জনসভা করবেন। সোমবার পোচকাট্টে থেকে শুরু হয় ভারত জোড়ো যাত্রা। সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠা মুলায়ম সিং যাদবের মৃত্যুর কারণে ৫ মিনিট নীরবতা পালন করেন কংগ্রেস নেতারা। এই পদযাত্রায় রাহুল গান্ধী বেল্লারিতে প্রথম জনসভা করবেন ১৫ অক্টোবর।
পাঁচ মাসে ৩ হাজার ৫৭০ কিলোমিটার পরিক্রমা
রাহুল গান্ধী তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারে ঘুরে দাঁড়াতে এবং দলকে অক্সিজেন দিতে পথ চলা শুরু করেছেন। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পথ চলার মাধ্যমে কংগ্রেসকে ফের আলোর সরণিতে ফেরানোই তাঁর লক্ষ্য। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে রাহুল চাইছেন গোটা ভারতকে এক সূত্রে বাঁধতে। রাহুল গান্ধী কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পাঁচ মাসের ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত তাঁর যাত্রাই দীর্ঘতম। তিনি পাঁচ মাসে ৩ হাজার ৫৭০ কিলোমিটার পরিক্রমা করবেন।
ভারত জোড়ো যাত্রায় পাদপ্রাদীপের আলোয় ফিরবে কংগ্রেস!
রাহুল ৭ সেপ্টেম্বর এই ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করে ইতিমধ্যে তামিলনাড়ু, কেরল হয়ে কর্নাটকে প্রবেশ করেছেন। প্রতিটি রাজ্যে ব্যাপক জনসংযোগ করছেন তিনি। সাড়া পাচ্ছেন বিস্তর। এখন দেখার এই ভারত জোড়ো যাত্রা কংগ্রেসকে আলোয় ফেরাতে পারে কি না। কংগ্রেস হারানো জমি ফিরে পায় কি না। রাহুল গান্ধীকে রাষ্ট্রনায়ক করে তুললে পারে কি না এই ভারত পরিক্রমা
'শিবসেনা’ এবং 'তির-ধনুক’ চিহ্ন ফ্রিজ কমিশনের! হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ঠাকরে