নয়া সিদ্ধান্ত, অগ্নিপথে ২০ শতাংশ আসন বরাদ্দ মহিলাদের জন্য
নানাভাবে অগ্নিপথ প্রকল্প যে ভালো তা তুলে ধরার চেষ্টা করছে কেন্দ্র, কারণ এই প্রকল্প নিয়ে আবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানিও হবে বলা জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তাই এবার নয়া সিদ্ধান্ত। মহিলাদের জন্যও খোলা অগ্নিবীরের দ্বার। নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, ভারতীয় নৌবাহিনীতে গত মাসে কেন্দ্র কর্তৃক উন্মোচিত অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগ করা অগ্নিবীরদের প্রথম ব্যাচের ২০ শতাংশ মহিলা প্রার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
"অগ্নিপথ নিয়োগ প্রকল্পের জন্য অগ্নিবীরদের প্রথম ব্যাচ গঠনের জন্য প্রার্থীদের ২০% মহিলা হবেন। তাদের নৌবাহিনীর বিভিন্ন অংশ এবং শাখায় পাঠানো হবে,"। এমনটাই জানিয়েছে নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা। পয়লা জুলাই ভারতীয় সেনা ও নৌবাহিনী অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতে, ভারতীয় বিমান বাহিনী ২৪ জুন এই প্রকল্পের অধীনে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছিল।
অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে, সাড়ে ১৭ বছর থেকে ২১ বছর বয়সী যুবকদের চার বছরের মেয়াদের জন্য সশস্ত্র বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, এবং তাদের মধ্যে ২৫ শতাংশকে পরবর্তীতে নিয়মিত পরিষেবার জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সরকার ১৬ জুন এই স্কিমের অধীনে নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্ব বয়সের সীমা এই বছরের জন্য ২১ থেকে বাড়িয়ে ২৩ বছর করেছে এবং পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় আধা-সামরিক বাহিনীতে অগ্নিবীরদের অগ্রাধিকার এবং তাদের অবসর নেওয়ার পরে প্রতিরক্ষা পাবলিক সেক্টরের উদ্যোগের মতো বেশ কয়েকটি আনন্দদায়ক পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে। ১৪ জুন এই প্রকল্প শুরু হবার পরে এবং বিরোধী দলগুলি এটির বিরুদ্ধে সুর চড়ায় এবং প্রকল্প বন্ধ করার দাবি জানায়। এই দাবি করার পরে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এই স্কিমটির বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভ বেশ কয়েকটি রাজ্যকে নাড়া দিয়েছিল। সশস্ত্র বাহিনী স্পষ্ট করে দিয়েছে যে যারা নতুন নিয়োগ প্রকল্পের বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভ এবং অগ্নিসংযোগে লিপ্ত ছিল তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।
এই প্রকল্প নিয়ে কম সমস্যা হয়নি। বিহারে সবথেকে বেশি সমস্যা হয়। একের পর এক ট্রেন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ক্ষতি হয় কোটি কোটি টাকার। সরকার চেষ্টা করেও প্রতিবাদ এবং ক্ষোভ রুখতে পারেনি। বিরোধীরা এই অবস্থা দেখে প্রতিবাদ চালু রাখতে বললেও শান্তির মাধ্যমে প্রতিবাদের ডাক দেন। রাহুল গান্ধী আবার বলেই দেন কৃষি বিলের মতোই এই প্রকল্প সরকারকে বন্ধ করে দিতে হবে। কেন্দ্র এই প্রকল্প চালু রাখতে বদ্ধপরিকর তাই শত সমস্যাতেও জারি রেখেছে এই প্রকল্পের কাজ।