ঘর ঘর মোদী, অতিমারির পর থেকে ব্যাপক ভাবে বেড়েছে নমোর জনপ্রিয়তা
Array
যতই জিনিষের দাম বারুক। আকাশ ছোঁয়া হয়ে যাক পেট্রোলের দাম কিংবা গ্যাসের দাম অথবা তেলের দাম। কোনও ব্যপার নয়। মানুষ চায় নরেন্দ্র মোদীকেই। তাইতো তাঁর জমানায় দেশের মানুষের চরম আর্থিক কষ্টের মধ্যেও তাঁকেই ভালোবাসছে জনতা। তাঁর জনপ্রিয়তা আরই বেড়েছে বই কমেনি। কীভাবে ? কোন ম্যাজিকে ? কোন তত্বে? এসবের কোনও লজিক নেই। সমীক্ষার ফল এমনটাই বলছে।
চরমে মোদীর জনপ্রিয়তা
বিরোধীরা যতই গলা ফাটাক না কেন মোদীর হয়েই কথা বলছেন জনতা। চরম মোদী ভক্তরা এসব শুনে হয়তো বলবেন মোদী হ্যাঁয় তো মুমকিন হ্যাঁয় কিংবা বলবেন হর হর মোদী , ঘর ঘর মোদী। কীভাবে সম্ভব ওসব ভেবে লাভ নেই। সুন্দর ডায়লগ মেরেই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে নরেন্দ্র মোদী। তাও কোন সময় থেকে ? অতিমারি শুরু হওয়ার পর থেকে।
মোদীই সেরা
যেখানে দেশ বিদেশের বহু সফল রাষ্ট্রনেতার গদি টলমল হয়ে গেল এই অতমারির ঠেলায়।, এমনকি শোনা যাচ্ছে এই করোনা সামলাতে না পারার জেরে গদি ছাড়তে হতে পারে চিনের রাষ্ট্রপতি জিনপিংকেও সেখানে মোদীর জনপ্রিয়তা এই সময় থেকেই আরও বেড়েছে বলে বলছে সমীক্ষা। অথচ দেশ এই সময়ে দেখেছে আচমকা লকডাউন , পরিযায়ী শ্রমিকদের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। করোনার জেরে মৃত মানুষের লাশ নদীতে ভেসে বেরানো, চিতা আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলছে শ্মশ্মান। তারপরেও সমীক্ষা বলছে মোদীই সেরা।
সমীক্ষা কী বলছে ?
এই সমীক্ষা তো মানুষের রায় নিয়েই করা হয়। তারা তাহলে ভাবছেন মোদী ভালো করেছেন। তাই এমন ফল বলছেন বিশেষজ্ঞরা।লোকাল সার্কেল ৬৪ হাজার মানুষকে নিয়ে সমীক্ষা করেছিল। এদের মধ্যে মধ্যে ৬৭% মানুষ বলছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে প্রত্যাশা পূরণ করেছে৷ গত বছরের ৫১%ম মানুষ এই কথা বলেছিলেন। এখন বোঝাই যাচ্ছে কোন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে তাঁর জনপ্রিয়তা।
যখন কোভিড ১৯ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ভয়াল আকার ধারন করেছিল ২০২০ সালে তখনও অবশ্য ৬২% মানুষ মোদীতেই বিশ্বাস রেখেছিলেন। আর এখন তো করোনার প্রভাব অনেকটাই কমে গিয়েছে ।মানুষ বলছেন যে সরকার কোভিড -১৯ সংক্রমণের তৃতীয় তরঙ্গ ভালোভাবে রুখতে প্রস্তুত ছিল এবং কার্যকরভাবে অর্থনীতি পরিচালনা করেছে। ঘটনা হল তৃতীয় ঢেউ মানে ওমিক্রন, এটি চিকিৎসকরা বলেই ছিলেন এর আর তেমন ক্ষমতা থাকবে না। সেটাই হয়েছে। তা সেখানে মোদীর ক্রেডিট কোথায় তা বুঝতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা তবে এটা বলছেন যে এটা দুরন্ত প্রচারের দারুণ ফল।
৪৭% জনগণ বলেছেন যে সরকার বেকারত্ব সহ নানা সমস্যা সমাধান করতে পারেনি। ৩৭ শতাংশ আবার বলছেন মোদী পেরেছেন। ২০২০ সালে এই ধরনের মানুষ ছিলেন ২৯ শতাংশ, ২০২১ এ তা কমে হয় ২৭ শতাংশ, এখন সেটাই লাগিয়ে দশ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
এই জনপ্রিয়তা কখন বাড়ছে?
যখন দেশের খুচরো মুদ্রাস্ফীতি আট বছরের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গিয়েছে, গম এবং চিনির রপ্তানি সীমাবদ্ধ করতে হয়েছে মুদ্রাস্ফীতি আটকাতে ঠিক তখন জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এরপরেও ৭৩% বলেছেন যে তারা তাদের পরিবারের ভবিষ্যত সম্পর্কে আশাবাদী। ৬০% বলেছেন যে সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি উন্নয়নে কার্যকর হয়েছে , কখন আসছে এই তথ্য ? যখন দেশজুড়ে মন্দির , মসজিদ লড়াই তুঙ্গে ঠিক তখন। এ থেকেই বলা যেতে পারে ২০২৪-এ তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।