২০১৯ লোকসভার পর কে হবেন প্রধানমন্ত্রী, স্পষ্ট ইঙ্গিত ফার্স্ট পোস্ট দ্য ন্যাশনাল ট্রাস্ট সার্ভের
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা প্রাক নির্বাচনী জনমত সমীক্ষা সামনে নিয়ে আসতে শুরু করেছে। শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্ডডাউন।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা প্রাক নির্বাচনী জনমত সমীক্ষা সামনে নিয়ে আসতে শুরু করেছে। শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্ডডাউন। তেমনই সমীক্ষা চালিয়েছিল ফার্স্ট পোস্ট দ্য ন্যাশনাল সার্ভে ট্রাস্ট ২০১৯। সেই সমীক্ষায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কে এগিয়ে আছেন উনিশের যুদ্ধে, বেসরকারি নিউজ চ্যানেলের সমীক্ষায় উটে এল সেই চিত্র
নরেন্দ্র মোদী
উনিশের নির্বাচনী পরিণামের আগাম আভাস দিতে ২৩টি রাজ্য থেকে ৩৫ হাজার মানুষের মত নিয়ে তৈরি হয়েছিল সমীক্ষা। এই সমীক্ষায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এগিয়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে ভোট দিয়েছেন ৫২.৮ শতাংশ মানুষ। মোদীকে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এগিয়ে রাখছেন।
রাহুল গান্ধী
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তুলনায় এই লড়াইয়ে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধী ভোট পেয়েছেন ২৬.৯ শতাংশ মানুষের। অর্থাৎ রাহুল গান্ধীর তুলনায় মোদী ভোট পেয়েছেন প্রায় দ্বিগুণ। অর্থাৎ নতুন সরকার গঠনে বিজেপি এগিয়ে থাকবে অনেকটাই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মোদী ও রাহুলের তুলনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু পিছিয়ে রয়েছেন বহুলাংশে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পছন্দ করছেন মাত্র ৪.২ শতাংশ মানুষ। মহাজোটের একাংশ তাঁকে মোদী বিরোধী জোটের মুখ হিসেবে এগিয়ে রাখলেও, সাধারণ মানুষের অধিকাংশ তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন না।
মায়াবতী
আর অখিলেশ যাদব যাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এগিয়ে রেখেছেন, সেই মায়াবতী মাত্র ২.৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। ২.৮ শতাংশ মানুষ তাঁকে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। অর্থাৎ চার মুখের তিনি সবথেকে পিছিয়ে থাকছেন। যদিও উত্তরপ্রদেশে বুয়া-ভাতিজার মহাজোট এবার মোদীকে হারাতে বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
মোদীর পারফরম্যান্স
মোদীকে ৫২.৮ শতাংশ মানুষ এগিয়ে রেখেছেন ২০১৯-এর লড়াই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। কিন্তু গত পাঁচ বছরে মোদীর পারফরম্যান্স কেমন। তার বিচারে আউটস্ট্যান্ডিং বলেছেন ১৯.৯ শতাংশ মানুষ। ভালো বলথেন ৩৬ শতাংশ। এভারেজ পারফরমেন্স বলেছেন ২১.৪ শতাংশ মানুষ। আর খারাপ বলছেন ১৮.৭ শতাংশ। মানুষ চার শতাংশ মানুষ কোনও মতামত প্রকাশ করেননি।